State Education Policy: রাজ্যের শিক্ষানীতিতে কেমন হবে প্রাক-প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর? আগের থেকে কতটা অদল-বদল
State Education Policy: জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষা তুলে দিয়ে কেবল উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষা ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব রয়েছে। তবে রাজ্য সে পথে হাঁটছে না। বাংলায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দুই-ই থাকছে।
কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতির ‘বেস্ট প্র্যাক্টিসেস’ বেছে নিয়ে রাজ্য নিজের মতো করে আলাদা শিক্ষানীতি তৈরি করেছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা আগামী দিনে কেমন হবে, তার একটি দিকনির্দেশ করা হয়েছে এই সুপারিশে। জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে যেমন মিল রয়েছে, তেমনই আবার বেশ কিছু জায়গায় ফারাকও রয়েছে। যেমন জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষা তুলে দিয়ে কেবল উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষা ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব রয়েছে। তবে রাজ্য সে পথে হাঁটছে না। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দুই-ই থাকছে। প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে একেবারে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থার খাঁচা কেমন রাখা হয়েছে দুই শিক্ষানীতিতে? দেখে নিন একনজরে।
প্রথম স্তর
প্রথম স্তরে জাতীয় শিক্ষানীতিতে মোট পাঁচ বছরের কথা বলা হয়েছে। এই স্তরে রয়েছে প্রাক প্রাথমিকের তিন বছর, তারপর প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণি। জাতীয় শিক্ষানীতিতে এটিকে বলা হচ্ছে ‘ফান্ডামেন্টাল ইয়ার্স’। তবে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে সেখানে এক বছরের প্রাক প্রাথমিকের কথা বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় স্তর
জাতীয় শিক্ষানীতির মডেল অনুযায়ী দ্বিতীয় স্তরে থাকছে তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। রাজ্য শিক্ষানীতিতে অবশ্য ক্লাসরুমের ক্ষেত্রে বিশেষ অদল-বদল করা হচ্ছে না। এক বছরের প্রাক প্রাথমিকের পরে প্রাথমিক স্তরে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত রাখা হয়েছে। যেমন আগে ছিল।
তৃতীয় স্তর
জাতীয় শিক্ষানীতির তৃতীয় স্তরে থাকছে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। অর্থাৎ, তিন বছর থাকছে উচ্চ-প্রাথমিক স্তরে। রাজ্যের শিক্ষানীতিতে সেখানে আগের মতোই উচ্চ প্রাথমিক ব্যবস্থা থাকছে। অর্থাৎ, পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চার বছর থাকছে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে।
চতুর্থ স্তর
জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে মাধ্যমিক বা সমতুল্য বোর্ড পরীক্ষা তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণির পর টানা নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠক্রম শেষে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য বোর্ড পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতিতে। তবে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যবস্থা আগের মতোই থাকছে। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বোর্ড পরীক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই সেমেস্টার পদ্ধতিতে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
স্নাতক স্তর
স্নাতক স্তরের ডিগ্রি কোর্স হবে চার বছরের। জাতীয় শিক্ষানীতি ও রাজ্যের শিক্ষানীতি উভয় ক্ষেত্রেই এই বিষয়ে একই কথা বলা হয়েছে। আগে যা তিন বছরের কোর্স ছিল, এখন তা হবে চার বছরের।
স্নাতকোত্তর স্তর
স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রি কোর্স এতদিন হয়ে এসেছে দুই বছরের। তবে জাতীয় শিক্ষানীতি ও রাজ্যের শিক্ষানীতি উভয় ক্ষেত্রেই তা কমিয়ে এক বছরে নিয়ে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।