ফিরহাদ-মদনদের গ্রেফতারিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গন্ধ পাচ্ছেন অধীর

অধীরের বক্তব্য, "গ্রেফতারি আগেও হতে পারত, ক'দিন পরেও হতে পারত। কিন্তু এই মুহূর্তে করোনা মহামারীর সময় এই গ্রেফতারের কি খুব প্রয়োজন ছিল? এটা প্রতিহিংসামূলক নয় তো?"

ফিরহাদ-মদনদের গ্রেফতারিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গন্ধ পাচ্ছেন অধীর
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 17, 2021 | 2:56 PM

কলকাতা: নারদকাণ্ডে (Narada Case) রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়কের গ্রেফতারি নিয়ে এবার সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এই গ্রেফতারি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না সে সংশয়ও ধরা পড়ল প্রদেশ কংগ্রসে সভাপতির গলায়।

সোমবার সকালে নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। সিবিআই দফতরে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জায়গায় জায়গায় করোনা বিধি ভেঙে শুরু হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ। এই মুহূর্তে ক্ষোভে ফুটছে বাংলা।

আরও পড়ুন: শোভন গ্রেফতার হতেই নিজাম প্যালেসে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলেন স্ত্রী রত্না, দেখা নেই বান্ধবী বৈশাখীর

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, করোনাকালে রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিদের এই গ্রেফতারি নিয়ে। বিশেষ করে যে অভিযোগে নাম রয়েছে বিজেপির দুই ‘হেভিওয়েট’ নেতারও। তাঁদের নিয়ে উচ্চবাচ্য না করে তদন্তকারীরা কেন রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিদের দিকে হাত বাড়ালেন তা নিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার করছেন অনেকেই। এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করেন অধীর চৌধুরী।

একটি ভিডিয়োবার্তায় অধীর চৌধুরী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই নারদকাণ্ডে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। আমার বক্তব্য খুবই সামান্য। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার যেন বাংলার কেউ না হয়। কাউকে ধরব, কাউকে ছাড়ব সিবিআই এই নীতি গ্রহণ করতে পারে না। সর্বপরি যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের এই করোনার আবহে কী করে সুস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে সে প্রশ্নটাও আমার মধ্যে আছে।”

একইসঙ্গে অধীর বলেন, “নারদকাণ্ড, সারদাকাণ্ড এ রাজ্যে বহু পরিচিত দুর্নীতির ঘটনা। বিচার ব্যবস্থা আছে, তদন্তকারী সংস্থা আছে, ঠিকই। কিন্তু সময় বড় জটিল। সারা বাংলা করোনায় আক্রান্ত। মানুষের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব। তাঁরা দিশাহারা। এই অবস্থায় গ্রেফতার করাটা কি সমীচীন হয়েছে, এ প্রশ্ন আমার মধ্যে আছে। এ প্রশ্ন আমি সিবিআইকে অবশ্যই করব।”