CPM Bengal: জোট করে কী লাভ হল! বাংলার সিপিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেরল ‘লবি’

Left-Congress: বাংলার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে বিহার সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। সীতারাম ইয়েচুরি কিছুদিন আগেই বলেছেন, ‘ইলেকশন ছিল, মোর্চা ছিল। ইলেকশন শেষ, মোর্চাও শেষ।’

CPM Bengal: জোট করে কী লাভ হল! বাংলার সিপিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেরল 'লবি'
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2021 | 8:13 PM

কলকাতা : বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে বাংলায় সিপিএমের (CPM) কোনও অস্তিত্বই নেই। ত্রিপুরাতেই ক্ষমতা হারিয়েছে বামেরা। পড়ে রয়েছে শুধু কেরল। গত নির্বাচনে বিজয়নের নেতৃত্বে সেখানে ক্ষমতায় এসেছে বামেরা। আর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সেই কেরল লবির প্রশ্নের মুখেই পড়তে হল বাংলার সিপিএমকে। সম্প্রতি দিল্লিতে হয়ে গেল সেই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। আর সেখানেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

সূত্রের খবর, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েই এই বিতর্ক। জোটের ক্ষেত্রে দুই রাজ্যে স্বার্থ আলাদা। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে বিরোধ। কেরল লবির প্রশ্ন জোট করেই বা কী লাভ হল বাংলায়? অন্যদিকে বাংলার ব্যাখ্যা, জোট না করে কীই বা করার ছিল। এ ক্ষেত্রে, বিহার, মহারাষ্ট্রের মতো কয়েকটি রাজ্য বাংলাকে সমর্থন করেছে। তবে, কেরলের বামেদের জোর কিছুটা হলেও বেশি। যদিও ওই জোট নিয়ে দলের অন্দরে কোনও অবস্থান ঠিক হয়নি।

কিছুদিন আগেই কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, ‘ইলেকশন ছিল, মোর্চা ছিল। ইলেকশন শেষ, মোর্চাও শেষ।’ এর পর উদাহরণ টেনে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেনন, ‘জনতা পার্টি এসেছিল ইন্দিরা গান্ধীকে হারাতে। হারিয়ে দিল তারপর জনতা পার্টি শেষ। ইমিডিয়েট পারপাসের জন্য ফ্রন্ট তৈরি হয়। ইভেন্ট শেষ হলে পারপাস থাকে না।’

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জোটবদ্ধ হয়েছিল সিপিএম (CPIM), কংগ্রেস (Congress) ও আইএসএফ (ISF)। তবে জোট করে লড়লেও রাজ্যে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি সংযুক্ত মোর্চা। বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন জিততে পারেনি বাম ও কংগ্রেস। মাত্র একটি আসন দখল করে মুখরক্ষা করে জোট শরিক আইএসএফ। ভাঙড়ে তাঁদের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে বাম ও কংগ্রেসের হাত পুরোপুরি শূন্য।

রাজ্যে সিপিআইএম-এর শূন্য হওয়ার পর রাজ্য কমিটিতে কৌশল নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন অনেকেই। এদিকে ভোট মিটে যাওয়ার পর জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। এর আগে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশ্নের মুখেও পড়েছিলেন রাজ্যের নেতারা।  বিধানসভার শোচনীয় ফলাফলের পর বাম শরিকদের একাংশের দাবি ছিল কংগ্রেস  ও আইএসএফ-কে নিয়ে ভোটে লড়ার ফলেই মুখ ফিরিয়েছেন সমর্থকরা। তার থেকে বরং ওই দুই দলকে ছেড়ে একা লড়ুক সিপিএম।

আরও পড়ুন :  নতুন ভোটার তালিকা এলেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর