Debangshu Bhattacharya: ‘বিজেপির ভাষায় লড়াই ফেরাতে পারেন মমতাই’, কংগ্রেসের ‘অহং’কে ঠুকলেন দেবাংশু

Debangshu Bhattacharya: তবে বাংলায় বিজেপির লড়াই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে, সেটাই আরও একবার স্মরণ করালেন তিনি। লিখলেন, "এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিজেপিকে বিজেপির ভাষায় লড়াই ফিরিয়ে দেওয়ার শক্তি আর ক'জনের আছে?"

Debangshu Bhattacharya: 'বিজেপির ভাষায় লড়াই ফেরাতে পারেন মমতাই', কংগ্রেসের 'অহং'কে ঠুকলেন দেবাংশু
দেবাংশু ভট্টাচার্য Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2023 | 4:11 PM

কলকাতা: চার রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে কার্যত ছিল কংগ্রেস-বিজেপির মুখোমুখি লড়াই।  সেখানে কংগ্রেস টেক্কা দিল বিজেপি। মুখ খুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। এই তিন রাজ্যের সরকার গড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করেছে বাংলার তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ফলাফলকে ব্যাখ্যা করলেন, ‘এটা আসলে বিজেপি-র জয় নয়, কংগ্রেসের ব্যর্থতা।’ আর তারপরই তৃণমূলের রাজ্য মুখ্যপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি কংগ্রেসকে ঠুকে লিখলেন, “ইগো ছেড়ে বাস্তবতাকে বুঝতে হবে।”

চার রাজ্যের গণনাপর্ব যখন কয়েকটি পর্যায়ে এগিয়ে গিয়েছে, ট্রেন্ড বুঝেই এক্স হ্যান্ডেলে দেবাংশু লিখলেন, ” দুঃখের বিষয়, উত্তর ভারতে কংগ্রেসের একটাও ডিকে শিবকুমার নেই। কংগ্রেস তৈরি করতে পারেনি। পারলেও ধরে রাখতে পারেনি। বহুক্ষেত্রে ইগো ছেড়ে বাস্তবতাকে বুঝতে শিখতে হব। শুধু ভোটের সময় জেগে উঠলে হবে না; সারা বছর মানুষের পাশে থাকতে হবে।”

প্রসঙ্গত, দক্ষিণী রাজনীতিতে কংগ্রেসের বিশ্বস্ত সেনাপতি ডিকে শিবকুমার। কর্নাটকের এই নেতা তেলঙ্গানায় দলীয় নেতাদের একসূত্রে বেঁধে রাখার ক্ষেত্রে নিজের সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। বুথ ফেরত সমীক্ষাই বলছিল, তেলঙ্গানায় বেশ অনেকটাই এগিয়ে থাকতে পারে কংগ্রেস। বাস্তব তাই হয়েছে এক্ষেত্রেও। কিন্তু উত্তর ভারতে তিন রাজ্যেই লড়াই মূলত যুযুধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস-বিজেপিই। ফল বলছে, সেখানে  কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। দেবাংশুর বক্তব্য, আসলে উত্তর ভারতে ডিকে শিবকুমারের মতো কোনও নেতৃত্ব তৈরি করতে পারেনি কংগ্রেস। আর এই ব্যর্থতার দায় কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডের ওপরই চাপাচ্ছে তৃণমূল শিবির।

তবে বাংলায় বিজেপির লড়াই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে, সেটাই আরও একবার স্মরণ করালেন তিনি। লিখলেন, “এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিজেপিকে বিজেপির ভাষায় লড়াই ফিরিয়ে দেওয়ার শক্তি আর ক’জনের আছে?”

প্রসঙ্গত, এই ফলাফলের পরই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি এই ফলাফলের প্রভাব পড়তে পারে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে, যার মুখ তৃণমূলের পরিভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক মুখপাত্র কুণাল উত্তর দিয়েছে, ‘অন্য পাড়ায় বেল পাকলে, এ পাড়ার কাকের কী?’ আর দেবাংশু লিখলেন, “বিজেপির ভাষায় লড়াই ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কেবল মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়েরই রয়েছে।”