Partha Chatterjee: ষড়যন্ত্রী কে? জানতে উৎসুক দিলীপ-বিকাশরা
Partha Chatterjee: বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সাফ বক্তব্য, পার্থ বাবু যদি মনে করেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার, তাহলে তাঁর উচিত সত্য কথা বলা।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির তদন্ত নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে গোটা রাজ্য। গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় যে যে দায়িত্বে তিনি ছিলেন, সেগুলি থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। দলের তরফেও সব পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার দুপুরে মেডিক্যাল চেক আপে যাওয়ার সময় মৌনতা ভেঙেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। এই বিষয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সাফ বক্তব্য, পার্থ বাবু যদি মনে করেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার, তাহলে তাঁর উচিত সত্য কথা বলা।
TV9 বাংলার সঙ্গে এক একান্ত আলাপচারিতায় সিপিএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ষড়যন্ত্রের শিকার যদি উনি মনে করে থাকেন, তবে অন্ততপক্ষে আজ উনি সত্য কথা বলুন। এতদিন এই অপকর্ম তিনি কার জন্য, কার নির্দেশে, কার অনুপ্রেরণায় করছেন… তাঁকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র কারা করছে… বাংলার মানুষ, ভারতের মানুষ তা জানতে চায়।” বিকাশ বাবু আরও বলেন, “একটা গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার যে পরিকল্পনা, তা কারা করেছিলেন এবং কেন করেছিলেন? উনি যখন বলছেন তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে ষড়যন্ত্রে, সে কথা উনি চিৎকার করে বলুন, তাঁকে কারা ফাঁসিয়েছেন… সত্য কথা বলার সৎ সাহসিকতা তিনি এখন চলে আসুন। শেষ মুহূর্তে অনুতপ্ত হয়ে যদি সত্য কথা বলেন, তবে দেশের পক্ষে মঙ্গল।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কারা ফাঁসিয়েছেন, সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন যখন বিকাশ বাবু তোলেন, তখন সাংসদের কাছে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি মনে করছেন, এখানে বড় কোনও নাম উঠে আসতে পারে কি না। উত্তরে বিকাশ বাবু বলেন, “ওর নাম না নেওয়াটাই খুব বিষ্ময়কর। এটা এত বড় একটা পরিকল্পনা, এটা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনও বেনিয়ম নয়। এটি পরিকল্পনা করে করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য।”
একই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। এদিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে মেডিক্যাল চেক আপে যাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। বলেন, “দেবযানীও তো কাঁদতেন, যখন চিটফান্ডে ধরা পড়লেন। ওনার বাড়িতে টাকা জমছিল। উনি ভাগ পাচ্ছিলেন, তখন ঠিক ছিল। এখন কেঁদে কী হবে? ওনার যদি কোনও দোষ না থাকে, তাহলে ওনারও দায়িত্ব পরিষ্কার করে বলে দেওয়া ওই টাকা কার।”