Dilip Ghosh: সুকান্তর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা কম? নিজের মন্তব্যের কী ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ
West Bengal BJP : সম্প্রতি দিলীপ ঘোষকে তুলনা করতে দেখা গিয়েছে, নিজের এবং উত্তরসূরীর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে। এবার সেই নিয়ে ফের মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
কলকাতা: দিলীপ ঘোষ বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব ছাড়ার পর তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সুকান্ত বাবু রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পথটা মোটেও খুব একটা মসৃণ ছিল না। বার বার দলীয় কমিটি ও পদ বণ্টন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী দলের প্রথম সারির অনেক নেতাই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। এমন এক পরিস্থিতিতে বার বার একটি কথা শোনা গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে – সুকান্ত মজুমদারের নাকি সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা কম। এমনকী দিলীপ ঘোষকেও তুলনা করতে দেখা গিয়েছে, নিজের এবং উত্তরসূরির রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে। এবার সেই নিয়ে ফের মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত ‘খোঁচা’ খাওয়ার পর পাল্টা বলেছিলেন সুকান্ত মজুমদারও। বলেছিলেন, “শুরুতে সবারই অভিজ্ঞতা কম থাকে। দিলীপ বাবুরও কম ছিল।” সোমবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ঠিকই তো বলেছেন। আমিও তো বলছি তাই। আমাকে কেউ জানতই না। তবে উনি সভাপতি হতেই ওনাকে সবাই জেনে গিয়েছেন, কারণ দল বড় হয়ে গিয়েছে। আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন লোকে বলত দিলীপ ঘোষ কে? এখন আর কেউ বলে না। পার্টি বড় হওয়ার কারণে এমন হয়। এটাই স্বাভাবিক।”
তবে নিজের বক্তব্যের সাফাই দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি বলেছি ওনার সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা কম। এটা উনিও গিয়ে সব জায়গায় বলেছেন। আমাদের পুরানো নেতাদের কাছে গিয়ে সুকান্ত বাবু বলেছেন, আপনারা আমার থেকে পুরানো।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি এও বলেন, “রাজনীতিতে কাজ করতে করতে অভিজ্ঞতা বাড়ে এবং মানুষ তাঁকে স্বীকার করে নেয়।”
উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষ সম্প্রতি বলেছেন, বিজেপি এই মুহূর্তে দুই ভাগে বিভক্ত। একটি দিলীপ ঘোষের বিজেপি এবং একটি সুকান্ত মজুমদারের বিজেপি। সেই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্রকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ বাবু বলেন, “কুণাল ঘোষের দূরদৃষ্টি রয়েছে। এর আগে রাহুল সিনহা বনাম দিলীপ ঘোষ করতেন, তারপর শুভেন্দু বনাম দিলীপ ঘোষ করতেন… এত বড় পার্টি ওনাদের ক্ষমতায় রয়েছে, এত বড় নেত্রী… অথচ রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর তা আবার বাতিল করতে হল। হাঁটু জলে ডুবে মরা উচিত। জল না থাকলে ইকো পার্কে ডুবে মরুক। আমাদের পার্টিতে এটা করতে হয় না।”
আরও পড়ুন : Tangra Fire: আগুন নিভেছে, কিন্তু আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়ছে না ট্যাংরাবাসীর