Dilip Ghosh: ‘আমাদের ভোটাররা বাড়িতে ছিলেন, ভোট দিতে নামেননি’, উপনির্বাচনের ভরাডুবির ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ
Bye Election 2022: দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাদের ভোটাররা বাড়িতে ছিলেন, ভোট দিতে নামেননি। তার ফল এটা। এলাকায় সন্ত্রাস চলেছে। ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে আমাদের কর্মীরাই প্রচারে নামতে সাহস পাননি।"
কলকাতা : উপনির্বাচনে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে নিয়ে বিজেপি বলছে, সেখানে তারা লড়াইয়ে ছিল না। কিন্তু আসানসোল? সেখানে তো পর পর দুইবার বিজেপির প্রার্থীই সাংসদ হয়েছেন। তার উপর এবার যিনি দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি তো আসানসোল দক্ষিণ থেকেই কয়েকমাস আগে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। তারপর আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি রয়েছেন সেখানে। তারপরও ভোট বৈতরণী পার করতে পারল না বিজেপি। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে ভোট ভরাডুবির ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, “আমাদের ভোটাররা বাড়িতে ছিলেন, ভোট দিতে নামেননি। তার ফল এটা। এলাকায় সন্ত্রাস চলেছে। ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে আমাদের কর্মীরাই প্রচারে নামতে সাহস পাননি।”
বালিগঞ্জেও গত বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। এবার সেই জায়গায় উঠে এসেছে বামেরা। ফুয়াদ হালিমের স্ত্রীর হাত ধরে ভোট শতাংশ অনেকটা বাড়িয়েছে বাম শিবির। সেই জায়গায় তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হয়েছে। হাওড়া, রামপুরহাট যে কারণেই হোক, সিপিএমে সংখ্যালঘু ভোট ফিরছে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রার্থীরাও আক্রান্ত হয়েছেন। আসানসোলে পাণ্ডবেশ্বরে, বারাবণীতে ভোট হয়নি। পাণ্ডবেশ্বরে যা লিড, বালিগঞ্জে অত ভোটই পড়েনি৷ মানুষ ভোট দিতে নামলেন কই?”
শাসক দলের বিরুদ্ধে যে সন্ত্রাসের অভিযোগ তিনি তুলেছেন, সেই তত্ত্বকে তুলে ধরতে অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ির উপর ‘হামলা’র প্রসঙ্গ টেনে আনেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “শুরু থেকেই এই আক্রমণ চলছে। আজও মেরেছে। এই তৃণমূল তো এটাই করছে। সন্ত্রাসের জেরে অনেককেই আমরা পাশে পাইনি।”
উল্লেখ্য, এবার বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন হোক বা আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। বিগত দুইবারের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে রেখেছিল বিজেপি। সাংসদ হয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু এবার বাবুল বালিগঞ্জের থেকে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। কম মার্জিন হলেও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অবাঙালি ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে আসানসোলে শত্রুঘ্নকে দাঁড় করিয়ে মমতা যে কৌশলী চালটি খেলেছেন, তাতেও ধরাশায়ী পদ্ম শিবির। বিজেপি হাত থেকে কার্যত ছিনিয়ে নিয়েছেন আসানসোল। রেকর্ড মার্জিনে জয়ী হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা।