Kanchanjunga Express: রাত ৩টে ২০, মৃত্যুকে ছুঁয়ে শিয়ালদহে ঢুকল সেই ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস
Kanchanjunga Express: আগরতলা থেকে ফেরা এক পরিবারের সদস্য বলেন, "এতটাই ভয়ে ছিলাম যে ট্রেনে একটা ঝাঁকুনি দিলেও মনে হচ্ছিল আবার কিছু হয়ে গেল না তো।" গৌহাটি থেকে ফিরেছে আরও এক পরিবার। জানান, ঘটনার সময় ব্রাশ করছিলেন। হঠাৎ প্রবল দু'টো ঝাঁকুনি লাগল ট্রেনে। মনে হচ্ছিল ট্রেনটা বোধহয় লাইনের বাইরে চলে যাবে। এরপরই দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়িটি। ততক্ষণে খবর ছড়িয়ে যায়, ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
কলকাতা: রাত ৩টে ২০। মঙ্গলের ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। অমঙ্গলের স্মৃতি বুকে নিয়ে শিয়ালদহে ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকল ১৩১৭৪ ডাউন আগরতলা-শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সোমবার এনজেপির কাছে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল এই ট্রেনেরই দু’টি বগি। এদিন ট্রেন যখন শিয়ালদহে ঢোকে, প্ল্যাটফর্ম চত্বর রেল পুলিশে ঠাসা। ছিলেন রেলের কর্তারা, ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী। প্রথম কামরার জানলায় উঁকি দিলেন ফিরহাদ। ততক্ষণে এক যাত্রী এসে আচমকাই জড়িয়ে ধরলেন ফিরহাদকে।
নীল গেঞ্জি, পিঠে ব্যাগ। আদ্যোপান্ত আম-বাঙালি। হাউ মাউ করে কেঁদে ফেললেন ফিরহাদের বুকে মাথা রেখে। চোখে মুখে ভয়, আতঙ্ক। আবার একইসঙ্গে মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে ঘরে ফেরার এক ভয়াল অনুভূতি। কাঁদতে কাঁদতে লোকটি জানান, বিপদ থেকে তিনি কিছুটা দূরে ছিলেন। কারণ, তাঁর কামরা অনেকটা পিছনের দিকে ছিল। কলকাতা জিপিওতে চাকরি করেন বলেও জানান তিনি।
ততক্ষণে প্ল্যাটফর্ম থিক থিক করছে মানুষের ভিড়ে। সিংহভাগই কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী। আগরতলা থেকে এক পরিবার সোমবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। সারাদিন, সারারাত কাটিয়ে অবশেষে ফিরলেন শিয়ালদহে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলি সরিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা শিয়ালদহে ফিরেছে আপন ছন্দেই। তবে ভয়ে রাতভর চোখের পাতা এক করতে পারেনি একটি পরিবারও।
আগরতলা থেকে ফেরা এক পরিবারের সদস্য বলেন, “এতটাই ভয়ে ছিলাম যে ট্রেনে একটা ঝাঁকুনি দিলেও মনে হচ্ছিল আবার কিছু হয়ে গেল না তো।” গৌহাটি থেকে ফিরেছে আরও এক পরিবার। জানান, ঘটনার সময় ব্রাশ করছিলেন। হঠাৎ প্রবল দু’টো ঝাঁকুনি লাগল ট্রেনে। মনে হচ্ছিল ট্রেনটা বোধহয় লাইনের বাইরে চলে যাবে। এরপরই দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়িটি। ততক্ষণে খবর ছড়িয়ে যায়, ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এরপর দীর্ঘ ভয়াবহতা কাটিয়ে ট্রেন ফিরল শিয়ালদহে।