AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এবার ‘দুয়ারে কেএমসি’; ছুটতে হবে না পুরসভায়, পাড়াতেই পাবেন পরিষেবা

KMC: করোনা পরিস্থিতিতে গত প্রায় দেড় বছর ধরে ঘরবন্দিই হয়ে রয়েছেন মানুষ। বাইরে বেরোলেও একাধিক বিধিনিষেধের বেড়াজালে স্বাভাবিক গতি শ্লথ।

এবার 'দুয়ারে কেএমসি'; ছুটতে হবে না পুরসভায়, পাড়াতেই পাবেন পরিষেবা
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2021 | 11:00 PM
Share

কলকাতা: এবার ‘দুয়ারে কেএমসি’। বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছবে কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই ঘোষণা করলেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। খুব শীঘ্রই কলকাতা পুরসভা ‘দুয়ারে কেএমসি’ নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছবে। মিউটেশন ও অ্যাসেসমেন্টের কাজ হবে সেখান থেকেই।

করোনা পরিস্থিতিতে গত প্রায় দেড় বছর ধরে ঘরবন্দিই হয়ে রয়েছেন মানুষ। বাইরে বেরোলেও একাধিক বিধিনিষেধের বেড়াজালে স্বাভাবিক গতি শ্লথ। এই অবস্থায় পুরসভায় গিয়ে জমি, বাড়ি মিউটেশনের কাজ বা অ্যাসেসমেন্ট কর জমা দেওয়া বেশ কঠিনই। এক জায়গায় এত মানুষের ভিড় হলে সংক্রমণের ভয়ও থাকে। পাশাপাশি দেবাঞ্জন দেবের কাণ্ডের পর পুরসভায় যাতায়াতও এখন আর অবাধ নয়। সম্প্রতি বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে পুরভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে।

সে ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যাওয়াটাই সুবিধাজনক উপায় বলে মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ। এতে মানুষের ভোগান্তিও কমবে। এদিন ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি পাড়ায়, ওয়ার্ডে কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধিদল শিবির করবে। সেখানেই পুরসভার মিউটেশন এবং অ্যাসেসমেন্ট কর দেওয়া যাবে। কোনও বাসিন্দাকেই কলকাতা পুরভবনে বা পুরসভার অন্যান্য কার্যালয়ে যেতে হবে না। পুরসভা সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণে এই করের টাকা বকেয়া। মিউটেশনের কাজও অনেকেরই বাকি। সবদিক বিচার করেই বাড়ির দরজায় পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।

আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নবান্নে তৈরি নীল নকশা, জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব

একইসঙ্গে এদিন ফিরহাদ হাকিম ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ় মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা মোট ৩৫ লক্ষ ভ্যাকসিন দিয়েছে। রোজ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো পরিকাঠামো কলকাতা পুরসভার রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও ভ্যাকসিনই আসছে না। ফলে ভ্যাকসিনের আকাল দেখা দিয়েছে। ফিরহাদের কথায়, “বাধ্য হয়ে আমরা শুক্রবার এবং শনিবার প্রথম ডোজ়ের টিকা দেওয়া বন্ধ রাখছি। তবে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে।”