Duare Sarkar: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’, খরচ হতে পারে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা: সূত্র

Duare Sarkar: প্রশ্ন উঠছে, এখন দুয়ারে সরকার হলে পঞ্চায়েত ভোট কবে? ডিএ নিয়ে যখন আতান্তরে সরকার, তখন ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে দুয়ারে সরকার কেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরাও।

Duare Sarkar: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’, খরচ হতে পারে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা: সূত্র
দুয়ারে সরকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2023 | 5:03 PM

কলকাতা: বাংলার পঞ্চায়েত ভোট যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে, সেই সময়ে তিন মাসের ব্যবধানে নতুন করে বুথ স্তরে ‘দুয়ারে সরকার’ কেন, তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই শুরু জল্পনা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এপ্রিলে ২০ দিনের ওই কর্মসূচিতে খরচ হতে পারে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা! প্রশ্ন উঠছে, এখন দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) হলে পঞ্চায়েত ভোট কবে? ডিএ নিয়ে যখন আতান্তরে সরকার, তখন ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে দুয়ারে সরকার কেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরাও। একদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল। এই পরিস্থিতিতে ভোটারদের মন বুঝতে বা ভাবমূর্তি ফেরাতেই কি বুথ স্তরে দুয়ারে সরকার? ভোটের মুখে দান খয়রাতি করতে দুয়ারে সরকার কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ১ এপ্রিল থেকে দুয়ারে সরকারের কর্মসূচি শুরু হতে। ১ এপ্রিল থেকে দু’দফায় হবে শিবির। প্রথম দফায় নেওয়া হবে আবেদনপত্র, দ্বিতীয় দফায় চলবে শংসাপত্র দেওয়া এবং সংশোধনের কাজ। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই খবর জানানো হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার মামলা, কয়লা কাণ্ড এরকম একাধিক মামলায় আপাতত বিধ্বস্ত শাসকদল। দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদলের ‘ফেস লস’ হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় মরিয়া শাসক তৃণমূল। সেক্ষেত্রে গ্রাম বাংলায় একাধিক জনমুখী কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এরকমই একটি জনমুখী কর্মসূচি ছিল ‘দিদির- দূত’। রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের কথায়, এই কর্মসূচি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। কারণ রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে মফ্ফস্বল-সব জায়গাতেই জনসংযোগ বাড়াতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল নেতা-বিধায়কদের। নিত্য সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিতও হয়েছে। ফলে জনরোষ যে তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। গ্রাম বাংলার উন্নতির স্বার্থে একাধিক প্রকল্প, যাতে খরচ হতে পারে কোটি কোটি টাকা, তা ঘোষণার মাধ্যমে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দিনের পর দিন অনশন আন্দোলনে বসেছেন সরকারি কর্মীরা, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলছেন তিনি তাঁদের প্রাপ্য দিতে অপারগ, কোষাগার শূন্য, সেখানে দাঁড়িয়ে কীভাবে কোটি কোটি প্রকল্প? কোথা থেকে আসবে সেই টাকা , প্রশ্ন তো উঠছেই।

এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এটা আর কিছু না, আই ওয়াশ। দিকে দিকে দিদির দূতরা বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। সরকারি কর্মীরাও গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। তাই এবার ডিএ না পাওয়া সরকারি কর্মীদের পাঠিয়ে নতুন প্রচেষ্টা সরকারের। আবার কোটি টাকার দুর্নীতি হবে। মোচ্ছব চলবে।”

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেন, “দুয়ারে সরকার একটি সরকারি কর্মসূচি। এর সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও যোগ নেই। মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হয়েছিলেন। তাঁরাই দাবি জানিয়েছিলেন, আবার কবে হবে দুয়ারে সরকার? মানুষের দাবি মেনেই এই উদ্যোগ। সরকারের কত টাকা আছে, কোথায় আছে, তা নিয়ে বিরোধীদের এত মাথা ব্যথা কেন? সরকার সরকারের কাজ করবে। বিরোধীরা নোংরা রাজনীতি করবেন।”