Death in Hospital: ‘বার বার ওদের কাছে জানতে চেয়েছি ওষুধ ঠিকমতো খাচ্ছে কি না’, মায়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছেলে

Patient Died: বরাহনগরের টবিন রোডের বাসিন্দা বাহাত্তর বছরের পুষ্পরাণি চক্রবর্তীকে ২২ নভেম্বর ভর্তি করা হয় সিঁথির বেসরকারি হাসপাতালে।

Death in Hospital: 'বার বার ওদের কাছে জানতে চেয়েছি ওষুধ ঠিকমতো খাচ্ছে কি না', মায়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছেলে
মায়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ছেলে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2021 | 1:01 AM

কলকাতা: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে কাঠগড়ায় সিঁথির এক বেসরকারি হাসপাতাল। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার নামে ওই রোগীকে খাওয়ানো হয় মুড়িমুড়কির মতো ওষুধ। শেষে রোগীর মৃত্যু।

বরাহনগরের টবিন রোডের বাসিন্দা বাহাত্তর বছরের পুষ্পরানি চক্রবর্তীকে ২২ নভেম্বর ভর্তি করা হয় সিঁথির বেসরকারি হাসপাতালে। সুগার ফল করে গিয়েছিল তাঁর। সেই সঙ্গে লাগাতার বমি। সে কারণেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’দিন পরেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। বুধবার আচমকা অবস্থা খারাপ হওয়ায় আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ভেন্টিলেশন। শুক্রবার সন্ধেয় সব শেষ।

পুষ্পরানি চক্রবর্তীর স্বামী প্রদ্যোত্‍কান্তি চক্রবর্তী বলেন, “আমি যখন বুধবার সাড়ে ছ’টা অবধি ওর সঙ্গে ছিলাম, তখন ও বার বারই আমাকে বলছিল আমাকে একসঙ্গে ১০টা ট্যাবলেট খাইয়েছে। আমি তো জীবনে ১০টা ট্যাবলেট একসঙ্গে খাইনি কোনওদিন।” মৃতের ছেলে পার্থ চক্রবর্তীর কথায়, “আমরা বার বার জানতে চাইছিলাম যে ওষুধগুলো চলে সেগুলো খাওয়ানো হচ্ছে কি না। কিন্তু হাসপাতালের তরফে কোনও জবাব স্পষ্ট করে দেওয়া হয়নি। ওদের কথায় ধোঁয়াশা ছিল।”

স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশ রয়েছে চিকিত্‍সা সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে রোগীর পরিবারকে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইজারি মোতাবেক, রোগীর কী ধরনের চিকিৎসা হয়েছে, কী চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে, কী ওষুধ দেওয়া হয়েছে রোগীকে, সমস্ত তথ্য হাসপাতাল জানাতে বাধ্য। এক্ষেত্রে কেন দেওয়া হল না? পুষ্পরানি চক্রবর্তীর ছেলে পার্থ চক্রবর্তীর কথায়, “ওরা চিকিৎসা জানে না। ওদের মধ্যে অজ্ঞতা আছে। গাফিলতিও আছে। তা না হলে এ ভাবে আমাকে আমার মাকে হারাতে হোত না। কোন পদ্ধতিতে ওরা চিকিৎসা করেছে, কী ভুল করেছে সেই জবাব আমার চাই।”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বরাহনগর থানার পুলিশের উপস্থিতিতে সোমবার রোগীর পরিজনদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাদের কী অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ শুনবে। তারপরই এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য সেটা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব। তার আগে বেসরকারি ওই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, কোনও কথা তারা বলবে না।

কিছুদিন আগেই মানিকতলা হাজি জাকারিয়া লেনের বাসিন্দা সৃজা দত্তকে জ্বর ভর্তি করা হয়েছিল মানিকতলার এক বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তি করার পরদিনই ন’বছরের সেই মেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সেখানেও ডাক্তার ও নার্সদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় চরম গাফিলতির অভিযোগ এনেছিল পরিবারের লোকজন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বার বার চরম গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এমনকী জীবন নিয়ে টানাটানি পর্যন্ত পড়ে যায়। তারপরও হুঁশ ফেরে না সংশ্লিষ্ট মহলের। সৃজার পরিবারের মতোই পুষ্পরানিদেবীর পরিবারও বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে।

আরও পড়ুন: Omicron Threat: হুমকির নাম ওমিক্রন! ১২টি দেশ থেকে ফিরলেই কলকাতা বিমানবন্দরে নমুনা পরীক্ষা আবশ্যক

আরও পড়ুন: KMC Election 2021: প্রতীক দিয়েও ফেরত চাইল দল, বলছে সূত্র! সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোনের টিকিটও কি বাতিল?

আরও পড়ুন: Kolkata Municipal Corporation Election 2021: নাম থাকতে পারে ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যের, সোমবারই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির