Attack on ED: পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ ইডি, FIR থেকে ‘গায়েব’ খুনের চেষ্টার ভয়ঙ্কর অভিযোগ
Sandeshkhali: ইডির তরফে একাধিক গুরুতর ধারায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল পুলিশের কাছে। তালিকায় ছিল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, ৩৩৩ ধারায় সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জখম করার মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগও। কিন্তু পুলিশের দায়ের করা এফআইআর থেকে সেই সব ধারা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে ইডি।
কলকাতা: সন্দেশখালিতে ইডির অফিসারদের উপর হামলার ঘটনার পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় ইডি। ইডির তরফে একাধিক গুরুতর ধারায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল পুলিশের কাছে। তালিকায় ছিল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, ৩৩৩ ধারায় সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জখম করার মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগও। কিন্তু পুলিশের দায়ের করা এফআইআর থেকে সেই সব ধারা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি বেশিরভাগই জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এমনকী এফআইআর কপিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে ইডির প্রকাশ করে প্রেস বিবৃতিতে।
প্রসঙ্গত, যেদিন সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলা হয়েছিল, সেদিনই বনগাঁতেও দাপুটে তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডির অপর একটি টিম। শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে বনগাঁ থেকে বেরনোর সময়ও গভীর রাতে ফের ইডির উপর হামলা হয়েছিল। সেই ঘটনায় কেউ জখম না হলেও, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ইডির একটি গাড়ি। গাড়ির পিছনের দিকের কাচ ভেঙে গিয়েছিল। বনগাঁর ঘটনাতেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ইডির। প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে ইডির দাবি, যখন সেখানে ভিড় জমতে শুরু করেছিল, তার অনেক আগে থেকেই পুলিশের থেকে নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল।
ইডি জানাচ্ছে, সকালেই বনগাঁর পুলিশ সুপারকে ইমেল করা হয়েছিল। এরপর বিকেল চারটে নাগাদ ফোন করেও ইডির অফিসারদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুরোধের পরও, সেখানে ভিড় জমতে দেওযা হয়েছিল বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।