Election Commission: পশ্চিমবঙ্গ থেকেই কেন প্রস্তাব এল না? বহুতলে বিল্ডিংয়ে বুথ বানানো নিয়ে কড়া কমিশন
Kolkata: এই তথ্য পেয়েই কার্যত ক্ষুব্ধ কমিশন। নির্বাচন কমিশনের মনে হয়েছে এই নতুন ভোটগ্রহণ তৈরি করা নিয়ে ডিইও-দের উদাসীন মনোভাব রয়েছে। কমিশনও কার্যত অবাক। তাদের মনে হয়েছে বাকি যে রাজ্যগুলিতে এসআইআর হচ্ছে, সেখানের কোথাও থেকে এমন রিপোর্ট আসেনি। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকেই এসেছে এই ধরনের রিপোর্ট।

কলকাতা: শহরের বহুতল আবাসন নিয়ে DEO (district election officer) সতর্ক করল কমিশন। শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকেই বহুতল আবাসনে বুথ তৈরি নিয়ে কেন কোনও তথ্য নেই? চিঠি দিয়ে জানতে চাইল কমিশন। এটা DEO-দের ব্যর্থতা। গুরুতর বিষয় হিসাবে নেওয়া হচ্ছে, বলল কমিশন।
বহুতলে বুথ করতে হবে এমন নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে দু’টি জায়গা থেকে মাত্র রিপোর্ট জমা পড়েছিল। বাকি আর কোনও জায়গা থেকেই কোনও তথ্য দিতে পারেনি জেলাশাসকরা। তাঁদের বক্তব্য, বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক দলের আপত্তি রয়েছে। একই সঙ্গে যাঁরা বহুতলের বাসিন্দা রয়েছেন তাঁরাও চাইছেন না তাঁদের আবাসনে এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হোক। এই কারণেই কোথাও বুথ করা যাচ্ছে না বলে জানান ডিইওরা।
এই তথ্য পেয়েই কার্যত ক্ষুব্ধ কমিশন। নির্বাচন কমিশনের মনে হয়েছে এই নতুন ভোটগ্রহণ তৈরি করা নিয়ে ডিইও-দের উদাসীন মনোভাব রয়েছে। কমিশনও কার্যত অবাক। তাদের মনে হয়েছে বাকি যে রাজ্যগুলিতে এসআইআর হচ্ছে, সেখানের কোথাও থেকে এমন রিপোর্ট আসেনি। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকেই এসেছে এই ধরনের রিপোর্ট। দু’বার বলা সত্বেও কেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে নতুন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের প্রস্তাব পাঠানো হল না? বিষয়টিকে গুরুতর ভাবে দেখা হচ্ছে। এমনকী, সংশ্লিষ্ট চিঠিতে ‘সিরিয়াস’ কথাটিও উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জনপ্রতিনিধি আইনের কথা উল্লেখ করে জেলাশাসকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে প্রয়োজনীয় জায়গায় বুথ না হলে তার দায় জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের নিতে হবে। এমনটাই নির্দেশ কমিশনের। সেক্ষেত্রে ২৫০টি বাড়ি ও ৫০০ ভোটার রয়েছেন এমন যে সমস্ত আবাসন রয়েছে সমীক্ষা করে সেখানেই ভোটকেন্দ্র তৈরি করতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠাতে হবে সেই প্রস্তাব, এমনই নির্দেশ কমিশনের।
