Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

উপনির্বাচন নিয়ে কী মত? কমিশনের চিঠি পেয়ে সক্রিয় তৃণমূল, উৎসাহ দেখাচ্ছে না বিজেপি

আগামী ৩০ অগস্টের মধ্যে জবাব চেয়েছে কমিশন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসেই এ রাজ্যে উপনির্বাচন চাইছে শাসকদল।

উপনির্বাচন নিয়ে কী মত? কমিশনের চিঠি পেয়ে সক্রিয় তৃণমূল, উৎসাহ দেখাচ্ছে না বিজেপি
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2021 | 7:58 PM

কলকাতা: শুধু তো পশ্চিমবঙ্গ নয়। মোট ৫ টি রাজ্যের একাধিক আসন অপেক্ষা করে রয়েছে উপনির্বাচনের। নিয়ম অনুযায়ী, ভোটের ফলপ্রকাশের ৬ মাসের মধ্যেই নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি চিঠি পাঠিয়ে পাঁচ রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলিকে উপনির্বাচনের বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ৩০ অগস্টের মধ্যে জবাব চেয়েছে কমিশন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসেই এ রাজ্যে উপনির্বাচন চাইছে শাসকদল।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলিকে পাঠানো চিঠিতে অতিমারী সংক্রান্ত গাইডলাইন নিয়ে মতামত চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যেহেতু প্রত্যেক রাজ্যেই বর্তমানে কোভিডের কারণে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা রয়েছে, তাই এর মধ্যে কোন পথে ভোটের আয়োজন সম্ভব, সেই কথা জানতে চাওয়া হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হলে এ দিন নবান্নে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা সেটা জানিয়ে দেব।”

যদিও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশকে যে চিঠি রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে, সেখানে অবিলম্বে উপনির্বাচনের আয়োজন করার দাবি জানানো হবে শাসকদলের পক্ষ থেকে। যেহেতু রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোটের উপর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, তাই উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে আর গড়িমসি করতে চাইছে না ঘাসফুল। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের  শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের আরও খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির বিশদ বিবরণে কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। গত বিধানসভা ভোটের সময় সংক্রমণের ছবিটা কেমন ছিল, এবং এখন তা কী রকম, তার একটি তুলনামূলক রেখাচিত্রও পেশ করা হবে কমিশনকে দেওয়া জবাবি চিঠিতে।

অন্যদিকে বিজেপি এখনও পর্যন্ত উপনির্বাচনের বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ স্বাভাবিক কারণেই দেখাচ্ছে না। কিন্তু যেহেতু তৃণমূল সুপ্রিমোকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখার জন্য নভেম্বর মাসের মধ্যেই নতুন করে জিতে আসতে হবে, তাই তৃণমূলের মরিয়া ভাব অনেকটাই বেশি। কমিশনের এই চিঠি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এ দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গোটা বিষয়টি নিয়ে মতামত ব্যক্ত করার ভার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপরই ছেড়ে দেন। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য কটাক্ষের সুরে বলেন, “যে সরকার সংক্রমণের ভয়ে লোকাল ট্রেন চালাতে পারছে না, তারা আবার দ্রুত উপনির্বাচন চাইছে। এই সরকারের দ্বিচারিতা নিয়ে কথা বলতে গেলে শেষ হবে না।”

ভোট যে দিনই হোক, ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে কমিশন। কোন জেলায় কী পরিস্থিতি, জেলাশাসকদের কাছ থেকে পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে কমিশন। জেলায় জেলায় ইভিএমের ফার্স্ট লেভেল চেকিং সম্পূর্ণ হয়েছে৷ রাজনৈতিক দলের মতামত চাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, পাঁচ রাজ্যের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে। নিয়ম অনুসারে দিন ঘোষণার অন্তত ২৫ দিন পর নির্বাচন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরে সম্ভব নয় নির্বাচন। অক্টোবরে পুজো। সেক্ষেত্রে পুজো শেষের পর স্থির হতে পারে কোনও তারিখ। কিন্তু কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে কমিশন নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে দিন ঘোষণা করেছে। ফলে ৩০ আগস্টই দিন ঘোষণা করলে বিশ্বকর্মা পুজোর পরই হতে পারে নির্বাচন। আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবেন রাজ্যের ৩ কোটি মহিলা! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর