RG Kar Case: সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে দেহ উদ্ধার হলেও মধ্যরাতে FIR কেন? উঠছে প্রশ্ন
RG Kar Case: প্রশ্ন হল, ন'টা ৪৫ মিনিটে ঘটনার কথা জানার পরও দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে কেন এফআইআর করার জন্য আবেদন করা হল? এখানেই প্রাক্তন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে চিকিৎসক মহল।
কলকাতা: ময়নাতদন্তের দেরি হওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অস্বস্তির মুখে পড়েছে রাজ্য। অস্বস্তি কাটাতে কলকাতা পুলিশের কার্যপদ্ধতির সময় ধরে শীর্ষ আদালতে নথি পেশ করেছে রাজ্য। তাতেও প্রশ্ন ওঠা বাকি রইল না। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের পেশ করা নথি অনুযায়ী, একটি মুখবন্ধ খামে তৎকালীন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ টালা থানাকে চিঠি লিখে জানান, ৯টা ৪৫ মিনিটে বিভাগীয় চিকিৎসক সুমিত রায় তপাদার এমএসভিপি’কে চেস্ট মেডিসিনের বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটির দেহ উদ্ধারের কথা জানান।
সেই সঙ্গে এফআইআর দায়েরের আবেদন করা হয়। এই চিঠি সংক্রান্ত এক্সক্লুসিভ নথি রয়েছে টিভি নাইনের হাতে। প্রশ্ন হল, ন’টা ৪৫ মিনিটে ঘটনার কথা জানার পরও দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে কেন এফআইআর করার জন্য আবেদন করা হল? এখানেই প্রাক্তন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে চিকিৎসক মহল। সূত্রের খবর, এরপর UD (অস্বাভাবিক মৃত্যুর রিপোর্ট দায়ের) করা হয়। তাহলে দেহ উদ্ধার যদি ৯.৪৫ মিনিটে হয় UD রিপোর্ট করতে ৫ ঘণ্টার বেশি লেগে গেল কেন? উঠছে এই প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল জানান, তিলোত্তমার ময়নাতদন্ত হয় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে। সূত্রের খবর, এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অফিসিয়ালি আপলোড করা হয় রাত ১০টা ২৫ মিনিট নাগাদ। আর এফআইআর হয় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে! এমএসভিপি’র চিঠি দেওয়ার পর ততক্ষণে ৯ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। এফআইআর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের পেশ করা নথি অন্তত সে কথাই বলছে। তবে কি ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিল পুলিশ? সে কারণেই এফআইআর দায়ের করতে মধ্যরাত হয়ে গেল?
চিকিৎসক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছে, যদি রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আপলোড হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে ১১টা ৪৫ মিনিটে এফআইএর করা হল কেন? কেন আরও ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট লেগে গেল?