Nabanna: নবান্নে এবার ‘ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক’, ছবি উঠলেই হাজিরা গণ্য হবে কর্মচারীদের

‘‌ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক' পদ্ধতিতে উপস্থিতি দেওয়ার রীতি সরকারি ভবনে এই প্রথম নবান্নে চালু হতে চলেছে। নবান্নের প্রতিটি তলে, সব দফতরের মূল ফটকের সামনে এই মেশিন লাগানো শুরু হয়েছে।

Nabanna: নবান্নে এবার 'ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক', ছবি উঠলেই হাজিরা গণ্য হবে কর্মচারীদের
নবান্নে চালু হতে চলেছে বায়োমেট্রিক হাজিরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2023 | 11:19 PM

কলকাতা: নির্দিষ্ট সময়ের পরে অফিসে আসা। কিংবা কাজের সময় শেষ হওয়ার আগেই অফিস থেকে চলে যাওয়া। সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রায় উঠে। তবে সরকারি কর্মচারীদের সেই ‘সুখের দিন’ এবার শেষ হতে চলেছে। কর্পোরেট অফিসের মতোই সরকারি অফিসে বসছে বায়োমেট্রিক মেশিন। রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্ন (Nabanna)-এ প্রথম চালু হতে চলেছে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স (Face Recognition Biometric Attendance)। আজ, মঙ্গলবার কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হয়। আগামী মাস অর্থাৎ মে মাস থেকেই সম্পূর্ণভাবে এই পদ্ধতিতে হাজিরা দেওয়ার রীতি চালু হয়ে যাবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আঙুলের ছাপ দিয়ে নয়, মুখের ছবি দিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হতে চলেছে নবান্নে। নতুন এই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে, ‘‌ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক মেশিন’। এদিন কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু হয়। এছাড়া নবান্নের প্রতিটি তলে, সব দফতরের মূল ফটকের সামনে এই মেশিন লাগানো শুরু হয়েছে। নবান্নে এই প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর বাকি সব সরকারি ভবনেও ‘‌ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স’ চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।

যদিও সূত্রের খবর, খাদ্যভবন, নবমহাকরণ, শিল্প ভবন, বিকাশ ভবনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা চালু আছে। তবে সেখানে মুখের ছবি নয়, আঙুলের ছাপ দিতে হয়। ‘‌ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক’ পদ্ধতিতে উপস্থিতি দেওয়ার রীতি সরকারি ভবনে এই প্রথম নবান্নে চালু হতে চলেছে। ‘‌ফেস রেকগনিশন বায়োমেট্রিক’ মেশিন বসানোর কাজ করছে ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড‌।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকা স্বরাষ্ট্র ও অর্থ দফতর পরিদর্শনে করেন। স্বরাষ্ট্র দফতরে সেদিন কর্মীদের হাজিরা বেশ কম ছিল। তারপরেই সব দফতরের কর্মীদের সকাল ১০.১৫ –র মধ্যে হাজিরা দেওয়ার আদেশনামা জারি হয়। সকালের হাজিরার সময় ঠিক করার পাশাপাশি বিকেলেও বেরোনোর সময় ঠিক করা হয়েছে। বিকাল ৫.‌১৫–র আগে কেউ বেরোতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।