Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Narkeldanga Fire: “দু’মিনিটে আসলে কি সত্যিই এমনটা হত?”, আগুনে ঘর খুইয়ে ছাইয়ের স্তূপে দাঁড়িয়ে আকুতি নারকেলডাঙাবাসীর

Narkeldanga Fire: জানা যাচ্ছে, তুলো-কাগজ-বস্তা-লোহা ভাঙার মতো প্রচুর বর্জ্য পদার্থ জমা করা হয় এই ঝুপড়িগুলিতে। সেই সব দিয়েই পেট চলে এই এলাকার মানুষের। কিন্তু পেটে অন্য জোগানোর মাধ্যমগুলোই যে প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে তা ধারণা করতে পারেনি তারা।

Narkeldanga Fire: দু'মিনিটে আসলে কি সত্যিই এমনটা হত?, আগুনে ঘর খুইয়ে ছাইয়ের স্তূপে দাঁড়িয়ে আকুতি নারকেলডাঙাবাসীর
নারকেলডাঙার ঝুপড়ির বাসিন্দা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2025 | 11:11 AM

কলকাতা: প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ধোঁয়ার ও লেলিহান আগুনের তেজ এতটাই যে দাঁড়িয়ে থাকার জো নেই। কিন্তু তাও থাকতে হবে। কারণ যদি ছাইয়ের স্তূপ থেকে শেষ সম্বলটা পাওয়া যায়, এখন তাই অনেক। গতকাল রাতে লেগেছিল আগুন। তারপর থেকে টানা চার ঘণ্টার প্রচেষ্টা। কিছুটা নিয়ন্ত্রণে পরিস্থিতি। এখনও বেশ কয়েকটা জায়গায় নিভু নিভু হয়ে জ্বলছে অগ্নিশিখা।

ঘটনা নারকেলডাঙার রেলকোর্য়ার্টার বস্তির। প্রথমে পোড়া পোড়া গন্ধ, তারপর গোটা বস্তি ঢেকে যায় লেলিহান আগুনে। জ্বলে যায় একের পর এক ঝুপড়ি। ইতিমধ্যেই জ্বলে গিয়েছে ৩০ থেকে ৪০টি ঝুপড়ি। ঘটনাস্থলে গত রাতেই ছুটে যায় দমকলের মোট ১৬টি ইঞ্জিন। পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে একজনের।

মৃত ব্যক্তির নাম হাবিবুল্লা মোল্লা। ঘটনার সময় সেই এলাকারই একটি গোডাউনে ছিলেন তিনি। আগুন লাগার ঘটনা হয়তো টের পাননি সেই ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন আগুন নিভতেই উদ্ধার হয়েছে তার দগ্ধ দেহ।

কীভাবে লাগল আগুন?

জানা যাচ্ছে, তুলো-কাগজ-বস্তা-লোহা ভাঙার মতো প্রচুর বর্জ্য পদার্থ জমা করা হয় এই ঝুপড়িগুলিতে। সেই সব দিয়েই পেট চলে এই এলাকার মানুষের। কিন্তু পেটে অন্য জোগানোর মাধ্যমগুলোই যে প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে তা ধারণা করতে পারেনি তারা। প্রাথমিক তদন্তে, এই সকল বর্জ্য পদার্থের জেরে আগুন তীব্রতর হয়ে বলে মনে করছে দমকল। আর ঘিঞ্জি এলাকা হওয়া যেন বাড়তি জোর পেয়ে যায় লেলিহান শিখা। নিমিষে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।

অবশ্য, প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সঠিক সময় মতো দমকল না পৌঁছনোর কারণেই এতটা বেড়ে গিয়েছে আগুন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, ‘ওরা বলছে দু’মিনিটের মধ্যে নাকি এসেছে। দমকল যদি সত্যিই ওত তাড়াতাড়ি আসত, তবে কি এতটা আগুনটা ছড়িয়ে পড়তে পারত?’

অবশ্য, এই সকল অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শচিন সিং। তাঁর দাবি, ‘দমকল সঠিক সময়েই এসেছে। দুই দিক আগুন লাগায় নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের।’ এরপরই বামেদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘বামেদের আমল থেকে এই ঘিঞ্জি এলাকায় অবৈধ ভাব ঝুপড়ি ভাড়া দেওয়া হত। তবে পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটা শুধরেছে। সুজিত-বাবু ও মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে। দুর্গতদের জন্যও দ্রুত কিছু একটা ব্যবস্থা করা হবে।’