Firhad Hakim: ‘আত্মসম্মানে লাগলে মাথা ঠান্ডা রাখা সম্ভব না’ : ফিরহাদ
KMC: সজল ঘোষের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ। ফিরহাদ হাকিমের কথায়, অভিযুক্ত কাউন্সিলর অসীম বসু তাঁর চেম্বারে গিয়েছিলেন। 'দুঃখিত'ও বলেছেন। একইসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "যে নেত্রীকে আমরা ভগবান বলি, তাঁর সম্পর্কে যা তা বলবে আর মাথা ঠান্ডা করে রাখব, মাথায় বরফ দিয়ে রাখব, হয় না।"
কলকাতা: কলকাতা পুরনিগমে অধিবেশন চলাকালীন বিজেপি ও তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে ঝামেলা। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের কলারে হাত দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসুর বিরুদ্ধে। ‘যা হয়েছে, তা একেবারেই উচিত নয়’, মন্তব্য করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “অসভ্যতার একটা সীমা আছে। এনাফ ইজ এনাফ। সব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব গরিমা আছে। তবে আত্মসম্মানে লাগলে, সকলে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারে না। আত্মসম্মান চলে গেলে, সামাজিক সম্মান টেনে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তখন মাথা ঠান্ডা রাখা সম্ভব হয় না।”
ফিরহাদের হাকিমের কথায়, অভিযুক্ত কাউন্সিলর অসীম বসু তাঁর চেম্বারে গিয়েছিলেন। ‘দুঃখিত’ও বলেছেন। একইসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “যে নেত্রীকে আমরা ভগবান বলি, তাঁর সম্পর্কে যা তা বলবে আর মাথা ঠান্ডা করে রাখব, মাথায় বরফ দিয়ে রাখব, হয় না।”
একইসঙ্গে ফিরহাদের খোঁচা, “আমাদের সদস্যদের তো এখন বিরোধীদের কাজও করতে হয়। কলকাতার মানুষ এমনিই পুরনিগম বিরোধীশূন্য করে দিয়েছে। ৩-৪ জন আছে। তাঁরাও তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। তাঁদের কাজ হচ্ছে, কোনটায় সংবাদমাধ্যম আকৃষ্ট হবে, সেটা করা।”
মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দাবি, অধিবেশনে বিরোধীরা তাদের ভূমিকা নিতে পারে না। ব্যক্তি সমালোচনা করে কুৎসার চেষ্টা করে। ফিরহাদের প্রশ্ন, “বাড়ির লোকেরা এরপর কোনও ভদ্রলোকের ঘরের ছেলেকে রাজনীতি করতে দেবে? দমবন্ধ পরিবেশ হয়ে গিয়েছে।”