Garfa: ‘হ্যাঁ আমি আমার মা-বোনদের সঙ্গেও এভাবেই…’, রাত সাড়ে ন’টা, গড়ফায় তরুণী কুকুরদের খাইয়ে ফিরছিলেন… তখনই সেই দৃশ্য, পাড়ায় পড়ল ছিঃ ছিক্কার
Garfa: তরুণীর অভিযোগ, "রাতে কুকুরদেরকে খাওয়াতে যাই। তারপর বাড়ির দিকে ফিরছিলাম। তখন রাস্তা থেকে দুটো ছেলে খুব খুব বাজে বাজে কথা বলতে থাকে। অনেকটাই অশ্লীল কথা বলছিল। আমি গিয়ে তাঁদের একজনকে জিজ্ঞাসা করি, আপনারা কি আপনাদের মা বোনদের সঙ্গেও এইভাবেই কথা বলেন?"

কলকাতা: গড়ফায় এক তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অভিযোগ দুই তরুণের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় রাতে আবার ওই তরুণীর বাড়িতে হামলা ৩০-৩৫ জন যুবকের। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ খাস কলকাতায়। আতঙ্কে ওই তরুণী ও তাঁর পরিবার। মূলত পথ কুকুরদের খাওয়ানো নিয়ে বচসা। আর তা থেকেই শ্লীলতাহানি বলে অভিযোগ।
তরুণীর অভিযোগ, “রাতে কুকুরদেরকে খাওয়াতে যাই। তারপর বাড়ির দিকে ফিরছিলাম। তখন রাস্তা থেকে দুটো ছেলে খুব খুব বাজে বাজে কথা বলতে থাকে। অনেকটাই অশ্লীল কথা বলছিল। আমি গিয়ে তাঁদের একজনকে জিজ্ঞাসা করি, আপনারা কি আপনাদের মা বোনদের সঙ্গেও এইভাবেই কথা বলেন? তখন ওই ছেলেটি বলেন, হ্যাঁ আমি আমার মা-বোনদের সঙ্গেও এইভাবেই কথা বলি। তখন আমি তাঁকে একটা চড় মারে চলে আসি। তিন দিন আমাকে ফলো করে। কখন বাড়ি ঢুকছি, কখন বেরোচ্ছি, সব খেয়াল করতে থাকে। আমি ওতো পাত্তা দিইনি। তিন দিন পর রাতে আমার বাড়ির সামনে এসে ৩০-৩৫ জনকে এসে হামলা করে। আমি ছিলাম না। বাবাকে নোংরা নোংরা কথা বলেছে।”
এমনকি তরুণীর অভিযোগ, কেবল অভিযুক্তই নন, তাঁর বাবাও হুমকি দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ছেলেটির বাবার বক্তব্য, আমি রাতে বেরিয়েছি, বলেই নাকি তাঁর ছেলে এসব কথা বলেছেন। আর আমি ওনার ছেলেকে মেরেছি বলে, উনি নাকি আমাকে ছিঁড়ে ফেলবেন, ফাটিয়ে দেবেন, চোখ গেলে দেবেন। অ্যাসিড মেরে রাস্তায় হাঁটা মুশকিল করে দেবেন। পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে একথা বলেছেন।”
উল্লেখ্য, যে যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এলাকারই মধ্যে থাকেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই তরুণী। থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি।
অভিযুক্তের বক্তব্য, “আমরা দাঁড়িয়ে কথা বলছি, কাজের বিষয় নিয়ে। তখন হঠাৎ করে এসে মেয়েটা চড় মেরে দিল। আমার দু-তিনটে চড় মারি। বলছে আমি নাকি টোন টিটকারি করেছি। কিন্তু পাড়ায় আলাদা করে কারোর সঙ্গে কথাই বলিনি।” অভিযুক্তের দিদি বলছেন, “২৫ বছর এখানে থাকি, কারোর কোনও অভিযোগ নেই। আর ওরা এল ৬ মাস। চিনি না জানি না, দু’জন দাঁড়িয়ে কথা বলছিল, ও কীভাবে ভাবল ওকেই বলা হয়েছে। একটা চড় মোটেও মারেনি। এমনভাবে মেরেছে, চোখটা প্রায় অন্ধ হয়ে যেতে বসেছে।” উল্লেখ্য, অভিযুক্তের চোখ দৃশ্যত ক্ষতিগ্রস্ত।





