Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হানকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়, ‘চিনা গুপ্তচর’ কাণ্ডের তদন্তভার এসটিএফকে

শুধু বাংলা নয় উত্তর প্রদেশ পুলিশেরও বিশেষ টিম হানকে খুঁজছিল। অর্থাৎ তদন্তের স্বার্থে এবার হানকে অন্য রাজ্যেও নিয়ে যেতে হতে পারে।

হানকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়, 'চিনা গুপ্তচর' কাণ্ডের তদন্তভার এসটিএফকে
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 15, 2021 | 4:00 PM

কলকাতা: চিনা নাগরিক হান জুনেই (Han Zeune) গ্রেফতারের ঘটনায় তদন্তভার নিল এসটিএফ। মালদহ সীমান্ত থেকে ধৃত হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় রাজ্য এসটিএফের গোয়েন্দারা। জেলা পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই হান সম্পর্কিত নথিপত্র এসটিএফকে হস্তান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এনআইএ-এর মত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও হানকে জেরা করেছে। হান চিনের গুপ্তচর বলেই সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।

সম্প্রতি মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেফতার করা হয় চিনের নাগরিক হান জুনেইকে। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন বেড়াতে এসেছেন ভারতে। কিন্তু ক্রমেই জেরায় তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। এখনও অবধি যা তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে, তাতে ভারতের আর্থিক পরিকাঠামো ধ্বংস করাই হানের মূল লক্ষ্য ছিল বলে সূত্রের খবর। জেরায় উঠে আসা তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং’ এর নাম করে হান ও তাঁর সঙ্গী সান জিয়াং তথ্য পাচারের কাজ করতেন। পাওয়ার ব্যাঙ্ক ও ইভেন্ট প্ল্যান্ট বলে দু’টি অ্যাপও তৈরি করেছিলেন তাঁরা। টাকা দ্বিগুণ করিয়ে দেওয়ার নাম করে, সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তাঁরা ভারতে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লগ্নি করাতেন।

আরও পড়ুন: ‘তারিখ পে তারিখ’! সারদা মামলায় সিবিআইয়ের উপর ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

এতদিন অবধি হান সংক্রান্ত যে সমস্ত তথ্য বিএসএফ ও মালদহ জেলা পুলিশের হাতে ছিল, অর্থাৎ তারা যে জেরা করেছিল তার রিপোর্ট বা আইআর (ইন্টারোগেশন রিপোর্ট), হানের জেরার ভিডিয়ো রেকর্ডিং, কী ভাবে সে ভারতে এল তার পুনর্নির্মাণের রেকর্ড সমস্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে এসটিএফকে। তবে হানের ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করা এখনও সম্ভব হয়নি। কারণ, চিনের স্থানীয় ভাষা মান্দারিনে তা লক করা। মান্দারিন জানেন এমন দোভাষীর খোঁজও চলছে। সর্বপরি তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, হানের শরীরে কোনও মাইক্রো চিপ লুকানো থাকতে পারে। তা বুঝতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন।

পাশাপাশি শুধু বাংলা নয় উত্তর প্রদেশ পুলিশেরও বিশেষ টিম হানকে খুঁজছিল। অর্থাৎ তদন্তের স্বার্থে এবার হানকে অন্য রাজ্যেও নিয়ে যেতে হতে পারে। এসটিএফের এই ধরনের তদন্তের জন্য সবরকম পরিকাঠামো রয়েছে। কলকাতায় নিয়ে এলে হানের শারীরিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা হবে। কারণ এসটিএফের বিশেষজ্ঞ দল রয়েছে। সে কারণেই তদন্তভার এসটিএফের হাতে তুলে দেওয়া হল।