Hari Krishna Dwivedi: আবেদন মঞ্জুর, মেয়াদ বাড়ল মুখ্যসচিব হিসেবে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর
Hari Krishna Dwivedi: ২০২১ সালের ৩১ মে মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তার আগে দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে রাজ্যের অর্থ দফতরের প্রধান সচিব হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন।
কলকাতা: মেয়াদ বাড়ল মুখ্যসচিবের। আরও ৬ মাস রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে থাকছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আজ, শুক্রবারই মুখ্যসচিব হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে আগেই মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল রাজ্য। এদিন সকাল পর্যন্তও সেই আবেদনে সাড়া মেলেনি। ফলে, মুখ্যসচিবের মেয়াদ বাড়বে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সূত্রের খবর, অবশেষে মিলেছে উত্তর।
জানা গিয়েছে, মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। প্রয়োজনীয় নথিপত্রও জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে কেন্দ্রের তরফে সবুজ সঙ্কেত না মিললে বি পি গোপালিকা মুখ্যসচিব হতে পারেন, এমনটাও শোনা যাচ্ছিল। তবে আর কোনও জল্পনা রইল না।
প্রশাসনিক মহলের অন্দরে অনেকেই বলেন, রাজ্যে বিভিন্ন দফতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইএএস-দের মধ্যে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন। আবার এও শোনা যায়, বিরোধীরা নাকি চাইছিলেন না দ্বিবেদীর মেয়াদ বৃদ্ধি হোক।
২০২১ সালের ৩১ মে মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তার আগে দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে রাজ্যের অর্থ দফতরের প্রধান সচিব হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১২ সালে অর্থসচিব পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, ২০২০ সালে দায়িত্ব নেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব পদে। উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক হিসেবেও কাজ করেছেন একসময়। আর আপাতত রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।
উল্লেখ্য, হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর আগে মুখ্যসচিব ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ক্ষেত্রেও মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে, সেই সময় রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে গরহাজির ছিলেন আলাপন। এরপর তাঁকে দিল্লিতে নর্থ ব্লকে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এরপর ছবিটা বদলে যায়। মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নিয়ে নেন আলাপন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে কাজে যোগ দেন।