Child Death in Murshidabad: ‘যা বলা হচ্ছে সব ঠিক নয়’, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সদুত্তর পাচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর
Child Death in Murshidabad: শনিবার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ আধিকারিক অসীম দাস মালাকার বলেন, 'রেফার রোগের জন্য সদ্যোজাতর মৃত্যু নিয়ে যা বলা হচ্ছে তার সবটা ঠিক নয়। যে কোনও মৃত্যু দুঃখের। তবে শিশুদের মধ্যে কম ওজনের শিশু ছিল, এটাও ঠিক।'
কলকাতা: শিশুমৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে ফের মুর্শিদাবাদে গেলেন স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধিরা। চার প্রতিনিধির দল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে যান শনিবার। সেই প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ আধিকারিক অসীম দাস মালাকার-সহ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। শিশুমৃত্যু নিয়ে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা খুব একটা ঠিক বলে মনে করছেন না ওই বিশেষজ্ঞরা। এর আগে শুক্রবারও হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের দুই প্রতিনিধি। তাঁরাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া ব্যাখ্য়ায় সন্তুষ্ট হননি। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯ শিশুর। ৪৮ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ১৩। এরপরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর।
শনিবার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ আধিকারিক অসীম দাস মালাকার বলেন, ‘রেফার রোগের জন্য সদ্যোজাতর মৃত্যু নিয়ে যা বলা হচ্ছে তার সবটা ঠিক নয়। যে কোনও মৃত্যু দুঃখের। তবে শিশুদের মধ্যে কম ওজনের শিশু ছিল, এটাও ঠিক। এক সদ্যোজাতের ওজন ছিল মাত্র ৪০০ গ্রাম।
আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, জঙ্গিপুরের এসএনসিইউ’র সংস্কারের কাজ চলায় ওখানে সব সদ্যোজাতকে ভর্তি করা যাচ্ছে না। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জঙ্গিপুরে পুরোদমে পরিষেবা চালু হবে। রেফার নিয়ে নার্সিংহোমগুলির ভূমিকাও ঠিক নেই বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। সেই দিকটাও নজরে রাখছে স্বাস্থ্য ভবন।
এই ঘটনায় হাসপাতালের পরিষেবাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বেডে-এর তুলনায় বেশি শিশুকে ভর্তি করা হচ্ছে শিশু বিভাগে।
স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা জানান ১০ জন শিশু নয়, ছয় জন শিশুর এস এন সি ইউ- তে মৃত্যু হয়েছে। ওই শিশুদের বাঁচানো সম্ভব ছিল না। নার্সিং হোম গুলি থেকে সদ্যজাত অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁদের। নার্সিংহোমগুলির সঙ্গে কথা বলার জন্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলা হয়েছে।