Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Justice Abhijit Ganguly: রাত ১০টায় বসল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস, বাড়ি ফিরলেন ৫ ডিরেক্টর

Justice Abhijit Ganguly: ডিরেক্টরদের সকালেই শেরিফের অফিসে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শুনানি শুরুর পর বিচারপতি বলেন, 'দুই সংস্থা সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানেন না এই পাঁচ ডিরেক্টর।' এদিন সংস্থার কার্যপ্রণালী নিয়েও বিচারপতির কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা।

Justice Abhijit Ganguly: রাত ১০টায় বসল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস, বাড়ি ফিরলেন ৫ ডিরেক্টর
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়Image Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2024 | 11:59 PM

কলকাতা: দুই সংস্থায় ‘ভুয়ো’ ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় দিনভর দফায় দফায় শুনানি হল আদালতে। বৃহস্পতিবার সকালে মামলা ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। রাত ১০টাতেও হল সেই মামলার শুনানি। যে পাঁচ ডিরেক্টরের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। ‘স্পেশাল ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস’ (SFIO)-এর আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে এদিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই পাঁচজনকে। সেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ১০ টায় এজলাস বসে। আদালতের নির্দেশে রাতে বাড়ি ফিরে যান ওই পাঁচ ডিরেক্টর। তবে এসএফআইও আধিকারিকদের এদিন আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়।

‘ডেল্টা লিমিটেড’ ও ‘ওড়িশা প্রাইভেট লিমিটেড’- নামে দুই সংস্থায় ডিরেক্টরদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সকালেই এই মামলায় ইডি-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি তদন্ত করবে এসএফআইও। ডিরেক্টরদের সকালেই শেরিফের অফিসে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শুনানি শুরুর পর বিচারপতি বলেন, ‘দুই সংস্থা সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানেন না এই পাঁচ ডিরেক্টর।’ এদিন সংস্থার কার্যপ্রণালী নিয়েও বিচারপতির কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা।

বিচারপতির এই ডিরেক্টরদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘কে এদের ডিরেক্টর হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সেটাও জানেন না।’ এই পাঁচজন কোনও অপরাধ করেননি বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করেন তিনি। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘কেউ এদের সাজিয়ে রেখে পিছন থেকে কাজ করছে। এদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’

এরপর রাত ১০ টায় ফের বসে এজলাস। বিচারপতি নির্দেশ দেন, এসএফআইও যাতে দুই কোম্পানির বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু আধিকারিকরা আদালতে জানান এভাবে তাঁরা এফআইআর করতে পারেন না। এ কথা শুনে বিচারপতি ভর্ৎসনার সুরে বলেন, ‘কেমন অফিসার রেখেছে এসএফআইও? কীভাবে বলছেন এফআইআর করা যায় না? এফআইআর যে কেউ করতে পারে।’ অফিসাররা জানান, সুনীল ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে ওই ডিরেক্টরদের নিয়োগ করা হয়েছে। এরা আসলে ডেল্টা জুটমিলের শ্রমিক। এরপর পাঁচ ডিরেক্টরকে বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।