‘যাদবপুরে কেন আক্রমণ?’ আদালতে প্রশ্ন মানবাধিকার কমিশনের, মুখ বন্ধ খামে জমা পড়ল রিপোর্ট

Calcutta High Court: যাদবপুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশন। অন্য দিকে কমিশনকে সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে বলে আদালতে সওয়াল করে রাজ্য।

'যাদবপুরে কেন আক্রমণ?' আদালতে প্রশ্ন মানবাধিকার কমিশনের, মুখ বন্ধ খামে জমা পড়ল রিপোর্ট
TET নিয়োগে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
Follow Us:
| Updated on: Jun 30, 2021 | 8:38 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় আজ, বুধবার মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিল মানবাধিকার কমিশন। রাজ্যে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে গিয়েছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেই পর্যবেক্ষণের রিপোর্টই জমা দেওয়া হয়েছে এ দিন। পুরো রিপোর্ট পড়ে তবেই রায় দেওয়া হবে, তাই এ দিন কোনও উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ দেয়নি বৃহত্তর বেঞ্চ। আগামী ২ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে কমিটি গঠন করে কমিশন। তবে এ দিন মানবাধিকার কমিশনের কর্মীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন ওঠে আদালতে। গতকাল, যাদবপুরে মানবাধিকার কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার উল্লেখ করে কমিশন।

আদালতে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে গত ২৪ জুন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসে। তার পর সেখান থেকেই কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে যে সব জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে প্রতিনিধিরা সে সব জায়গা পরিদর্শন করেন। এরপরেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এ দিন রিপোর্টের কপি চান মামলার সব পক্ষ। কিন্তু যেহেতু এই রিপোর্টে অনেকের নাম, ঠিকানা রয়েছে, তাই সেই কপি কাউকে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় আদালত।

বুধবার আদালতে খামে ভরে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তা অসম্পূর্ণ বলে দাবি করে কমিশন। শুনানিতে মানবাধিকার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলা হয়েছে। সেখানে যাওয়ার সময় প্রতিনিধি দল পায়নি। আর সেই কারণে অসম্পূর্ণ রিপোর্ট এটি। সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্যে আদালতের কাছে সময় চায় কমিশন। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ তাতে অসন্তুষ্ট। বিচারপতিরা বলেন, মনোনিবেশ করে কাজ করলে এই সময়ই যথেষ্ট।

আরও পড়ুন: ‘পর্দা কা পিছে মে কেয়া হ্যায়’, কাঁথি-তমলুক সমবায় ব্যাঙ্কের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা

এ দিন রাজ্য আদালতে জানায় যে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের সবরকমভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনা উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে সওয়াল করা হয়, ‘কমিশনের কর্মীরাই যদি আক্রান্ত হন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?’ মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদলের সফর ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নেয় যাদবপুর এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি লাঠিও চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যাদবপুর কেপিসি হাসপাতাল সংলগ্ন নীলসঙ্ঘ এলাকা। বুধবার এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পিত ঘটনা।’