Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘পর্দা কা পিছে মে কেয়া হ্যায়’, কাঁথি-তমলুক সমবায় ব্যাঙ্কের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা

Mamata Banerjee: পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সমবায় ব্যাঙ্কে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।

'পর্দা কা পিছে মে কেয়া হ্যায়', কাঁথি-তমলুক সমবায় ব্যাঙ্কের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 30, 2021 | 4:32 PM

কলকাতা: কাঁথি, তমলুক সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে কিছুদিন আগেই। নাম জড়িয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও সৌমেন্দু অধিকারীর। এ বার সেই ব্যাঙ্ক দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওই ব্যাঙ্কগুলিতে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট রয়েছে, এমন দাবি তুলে তদন্তের হবে বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি। মমতা এ দিন বলেন, ‘ওই সব ব্যাঙ্কে ভূতেদের অ্যাকাউন্ট আছে। ভূতেদের খুঁজে বের করতে হবে।’

বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই ঘটনায় আগে থেকেই রিট পিটিশন দেওয়া হয়েছে, যাতে তদন্ত না করা হয়। নাম না করে অধিকারীদের দিকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রিট পিটিশন করে বসে আছে যাতে অডিট না হয়। এত ভয় কিসের? পর্দা কা পিছে কেয়া হ্যায়?’ অভিযোগ পেলেই যে তদন্ত হবে, সেই বিষয়টাই নিশ্চিত করেছেন মমতা। মমতার ভাষায়, ‘ওই সব ব্যাঙ্কে ভূতেদের নামে অ্যাকাউন্ট আছে। ভূতেদের খুঁজে বের করতে হবে।’ ‘ভূতেদের মুখে এখন রাম নাম আর হরিনাম চলছে’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড যে বিজেপির চক্রান্ত না তার কি প্রমাণ আছে?’ প্রশ্ন মমতার

সম্প্রতি একাধিক সমবায় ব্যাঙ্কে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। কাঁথি মহকুমার তৃণমূল সমবায় সেল কিছুদিন আগে এই অভিযোগ তুলে ব্যাঙ্কের উচ্চতর আধিকারিকের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন।

জানা গিয়েছে, তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সেইসময় থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত ওই ব্যাঙ্কগুলিতে বিভিন্ন রকমের দুর্নীতিমূলক কাজ হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বজনপোষণের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেন হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কে বেআইনিভাবে গোপনে কয়েকজনের পদোন্নতিও করেছেন বলে অভিযোগ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে।