Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কো-উইনের ‘ফাঁড়া’ কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে করোনার টিকাকরণ, স্বস্তি প্রবীণদের

সোমবার কিংবা মঙ্গলবার দফায় দফায় হোঁচট খাওয়ার পর বুধবার কো-উইন (Co-Win)-এর ভূমিকা অনেকটাই সন্তোষজনক।

কো-উইনের 'ফাঁড়া' কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে করোনার টিকাকরণ, স্বস্তি প্রবীণদের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 04, 2021 | 2:11 PM

কলকাতা: ধীরে ধীরে ‘ধাতস্থ’ হচ্ছে কো-উইন ২.০ (Co-Win)। সোমবার কিংবা মঙ্গলবার দফায় দফায় হোঁচট খাওয়ার পর বুধবার তার ভূমিকা অনেকটাই সন্তোষজনক। সোমবার দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে গত দু’দিন ধরে টিকা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন প্রবীণ নাগরিকরা। বুধবার সকালেও সেই কারণে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ছিল টিকা নেওয়ার লাইন। কিন্তু দিনের শেষে প্রথম দু’দিনের তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ।

সোমবার থেকে ষাটোর্ধ্বদের জন্য শুরু হয়েছে টিকাকরণ। সঙ্গে পঁয়তাল্লিশের বেশি যাঁদের বয়স, অথচ কো-মর্বিডিটি আছে তাঁরাও এই দফায় টিকা পাচ্ছেন। কিন্তু টিকা নেওয়ার রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ হচ্ছে কো-উইনে। আর এই পোর্টাল সোমবার থেকেই দফায় দফায় হাত তুলে দিয়েছে। শুধু সোমবার কেন, মঙ্গলবারও ভোগান্তি হয়েছে টিকাগ্রহণকারীদের। ফলে টিকাকরণ কেন্দ্রের বাইরে যেমন ছিল লম্বা লাইন, চরম হয়রানি সহ্য করতে না পেরে অধৈর্যও হয়ে পড়ছেন প্রবীণ নাগরিকরা।

এরপরই বিষয়টি নিয়ে দিল্লিকে অবহিত করে স্বাস্থ্য ভবন। বুধবার সেই ছবি খানিক হলেও বদলাল। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, বুধবার প্রায় ৭০ শতাংশ সাইট দিনের বেশিরভাগ সময় সক্রিয় ছিল। মুকুন্দপুর আমরিতে এদিন টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ২৫০ রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে টিকা পান ২১১ জন। আর এন টেগোরে লক্ষ্যমাত্রা ৫০ থাকলেও টিকা পেয়েছেন ৫৫ জন, উডল্যান্ডসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০০। টিকা পান ৩১৫ জন। পিয়ারলেসে লক্ষ্যমাত্রা ১০০ ছিল। টিকা পান ৬৩ জন। ঢাকুরিয়া আমরিতে লক্ষ্যমাত্রা ৩৫০ থাকলেও টিকা পান ৪০০ জন।

আরও পড়ুন: আরএসএস দেশভক্তির পাঠশালা, রাহুলকে বিঁধে ‘জবাব’ জাভড়েকরের

বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে টিকাকেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হয়রানির মাত্রা কমেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। অ্যাপোলো হাসপাতালে এদিন ৪৫০ জন টিকা পেয়েছেন। বেসরকারি এক হাসপাতালের চিকিৎসক জয় বসু বলেন, “আমাদের এখানে কো-উইন পোর্টাল নিয়ে খুব একটা সমস্যা হয়নি। যেটুকু হয়েছিল সেটা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে মিটিয়ে নিয়েছি। যাঁরা আমাদের এখানে আসছেন তাঁদের কাউকেই ফিরিয়ে দিচ্ছি না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০০-৫০০ টিকাকরণ করছি। কারও যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সবরকম পরিষেবা নিয়ে আমরা প্রস্তুত।”

তবে বুধবারের ছবি দেখে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসতে নারাজ স্বাস্থ্য ভবন। তাদের বক্তব্য, আরও কয়েকদিন পোর্টালের গতিবিধি না দেখে এখনই আশ্বস্ত হওয়া যাচ্ছে না।