Babul Supriyo: রাজ্যপাল নিজেই বাবুলকে শপথ বাক্য পাঠ করান, চাইছেন সরকার পক্ষেরই একাংশ
Babul Supriyo: সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারা অনুসারে, নির্বাচিত বিধায়কের শপথ গ্রহণ রাজ্যপাল করাবেন। তবে রাজ্যপাল চাইলে কোনও বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য জন্য কাউকে মনোনীত করতে পারেন।
কলকাতা : বাবুল সুপ্রিয়র বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে জটিলতা অব্যাহত। সূত্রের খবর, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। তাই সরকার পক্ষের অনেকে চাইছেন, রাজ্যপাল নিজেই এই শপথ বাক্য পাঠ করান। এই মর্মে রাজ্যপালের কাছে চিঠি দেওয়ার কথা ভাবছে ওই অংশ। সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারা অনুসারে, নির্বাচিত বিধায়কের শপথ গ্রহণ রাজ্যপাল করাবেন। তবে রাজ্যপাল চাইলে কোনও বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য জন্য কাউকে মনোনীত করতে পারেন। শুক্রবার, প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে এই সব বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়।
আজকের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, তাপস রায়, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, শপথ গ্রহণের জন্য পরিষদীয় দফতর রাজ্যপালকে চিঠি পাঠায়। তারপরে রাজ্যপাল অনুমতি দিয়ে থাকেন। উল্লেখ্য, বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয়র জয়ের পর প্রায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও বিধায়ক পদে শপথ নিতে পারেননি বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্যপাল বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য অনুমতি দিয়েছেন বটে, কিন্তু এখানেও জটিলতা। সাধারণভাবে এই ক্ষমতা রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট বিধানসভার অধ্যক্ষকে দিয়ে থাকেন। তবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বাবুলকে বিধায়ক পদে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য মনোনীত করেছেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এই নিয়েই যাবতীয় জটিলতা।
বালিগঞ্জের জয়ী প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় নিজেও রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ করেছিলেন বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। উল্টে, বাবুলকেই একপ্রস্থ ধমক দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। টুইট করে কড়া ভাষায় বলে দিয়েছিলেন, বাবুলের এই ধরনের অনুরোধ সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এদিকে স্পিকারের বদলে ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করানোর অনুমতি দেওয়ায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক শিবিরও। এই পরিস্থিতিতে সরকার পক্ষের একটি অংশ চাইছে, সমস্যা দূর করতে যাতে রাজ্যপাল যাতে নিজেই বাবুলকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে দেন।