SSC Recruitment: বিচারপতির দুয়ারে চাকরিপ্রার্থীরা, কোন গেরোয় আটকে তাঁদের চাকরি?
Justice Abhijit Ganguly: সরকার চেয়েছিল সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে। সেই মতো মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে শূন্যপদ তৈরি হয় নবম-দ্বাদশ, নবম থেকে দ্বাদশের কর্মশিক্ষা শরীরশিক্ষা পদের জন্য।
কলকাতা: দিনের পর দিন, মাসের পর মাস রাস্তায় কাটাচ্ছেন বহু চাকরি প্রার্থী। শহরের রাস্তায় রাস্তায় চলছে আন্দোলন। আর আজ বুধবার সোজা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলেন চাকরি প্রার্থীরা। ভরসন্ধ্যায় রীতিমতো নাটকীয় পরিস্থিতি দেখা যায় বিচারপতির বাড়ির সামনে। পরে নীচে নেমে এসে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি। আইনের পথে এগোনের পরামর্শ দেন তিনি। এই চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তাঁরা সুপারিশপত্র পেলেও এখনও পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি তাঁদের।
কোন জটে আটকে চাকরি?
আসলে সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে। সরকার চেয়েছিল সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে। সেই মতো মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে শূন্যপদ তৈরি হয় নবম-দ্বাদশ, নবম থেকে দ্বাদশের কর্মশিক্ষা শরীরশিক্ষা পদের জন্য। নবম থেকে দ্বাদশের কর্মশিক্ষা, শরীরশিক্ষার জন্য ১২৮০ টি শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। ওই পদে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াও চালায় এসএসসি। ১২৮০ জনকে সুপারিশপত্রও দিয়ে দেয় এসএসসি।
এরপর বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ওই সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সরকার ‘অযোগ্য’দের চাকরি বহাল রাখার কথা বলায় ওই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এরপর ওই পদ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে চলছে। এদিকে, একটি পৃথক মামলায় শারীরশিক্ষা কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিত বসু।
সুপ্রিম কোর্টে সুপার নিউমেরারি জট না কাটলে চাকরির ছাড়পত্র মিলবে না বলেই জানাচ্ছে আইনজীবী মহল। এই চাকরিপ্রার্থীরা এর আগে বিকাশ ভট্টাচার্যের বাড়িতেও গিয়েছিলেন।