Mid Day Meal: মাস্ক-গ্লাভস-টুপি-অ্যাপ্রন চাপিয়ে ডিমের ঝোল রান্না, পাঁচ তারা হোটেলকেও টেক্কা দেবে মিড ডে মিলের পরিপাটি

Mid Day Meal: রাজারহাটের বনমালিপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় হোক বা সোনারপুরের কালিকাপুর বাসন্তী দেবী বালিকা বিদ্যালয়। সর্বত্রই গ্লাভস, অ্যাপ্রন, মাথায় টুপি পরে মিড ডে মিলের রান্নার দৃশ্য ধরা পড়ল।

Mid Day Meal: মাস্ক-গ্লাভস-টুপি-অ্যাপ্রন চাপিয়ে ডিমের ঝোল রান্না, পাঁচ তারা হোটেলকেও টেক্কা দেবে মিড ডে মিলের পরিপাটি
মিড ডে মিলের রান্না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2023 | 3:51 PM

কলকাতা: রাজ্যে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবারের বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাংলার বিভিন্ন স্কুলগুলি ঘুরে দেখছেন কেন্দ্রের পাঠানো প্রতিনিধি দল। সেই জয়েন্ট রিভিউ মিশনের (Joint Review Mission) সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি, রাজ্যের প্রতিনিধিও ও পুষ্টিবিদরাও। আর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জেলার বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনে যেতেই দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য। মিড ডে মিলের রান্না চলছে মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস, মাথায় টুপি, গায়ে অ্যাপ্রন চাপিয়ে। ঠিক যেভাবে পাঁচতারা হোটেলগুলিতে রান্না হয়। সবদিক থেকে গোছানো স্কুল। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে যে যথেষ্ট সচেতনতা রয়েছে, সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা। রাজারহাটের বনমালিপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় হোক বা সোনারপুরের কালিকাপুর বাসন্তী দেবী বালিকা বিদ্যালয়। সর্বত্রই গ্লাভস, অ্যাপ্রন, মাথায় টুপি পরে মিড ডে মিলের রান্নার দৃশ্য ধরা পড়ল।

মিড ডে মিলের রান্নার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁরা কতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে রান্না-বান্না করছেন সেই সব ঘুরে দেখেন কেন্দ্রের পাঠানো প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কোথায় রান্না হচ্ছে, কী তেল ব্যবহার করা হচ্ছে, কোন কোন মশলা ব্যবহার করা হচ্ছে, কী ধরনের চাল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই সব খতিয়ে দেখেন জয়েন্ট রিভিউ মিশনের আধিকারিকরা। নিয়মিত অ্যাপ্রন পরে রান্নাবান্না হয় কি না, সেই সব বিষয়েও খোঁজখবর নেন তাঁরা।

আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় টিম পরিদর্শনে আসছে বলেই কি রাতারাতি এই ভোলবদল? স্কুল কর্তৃপক্ষ কি কোনওভাবে আগে থেকে টের পেয়ে গিয়েছিল যে কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনে আসতে পারে? সেই কারণেই এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি ব্যবস্থা? যদিও রাজারহাটের ওই স্কুলের মিড ডে মিলের রান্নার দায়িত্বে থাকা এক মহিলা জানান, তাঁরা এভাবেই রান্না করেন। মাথায় টুপি, গায়ে অ্যাপ্রন চাপিয়ে রান্না করা, এটাই তাঁদের রুটিন কাজ। প্রতিদিন কাজ শুরু করার আগে তাঁরা এগুলি পড়ে নেন।

রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলছেন, ‘আমাদের রাজ্যে পরিচ্ছন্নভাবে, সুন্দরভাবে মিড ডে মিল হচ্ছে। এটা কেন্দ্রীয় দল দেখুক। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্যান্য প্রদেশে যেখানে সত্যি সত্যি নোংরা করে রান্না করা হচ্ছে, সেখানে তাঁরা এই অভিজ্ঞতার কথা জানান। বাংলা থেকে শিখে সারা ভারতে সুন্দরভাবে মিড ডে মিল হোক।’

যদিও এখানেও বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। অতীতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে। সেই সব স্কুল বাদ দিয়ে কেন এই স্কুলগুলিকে বেছে নেওয়া হচ্ছে পরিদর্শনের জন্য? এমন প্রশ্নও ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।