Manik Bhattacharya: বারবার আদালতের দ্বারস্থ মানিক, একধাক্কায় জরিমানা ‘ডবল’ করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

Manik Bhattacharya: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই সময় হওয়া পরীক্ষার ফল জানতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হন এক চাকরি প্রার্থী।

Manik Bhattacharya: বারবার আদালতের দ্বারস্থ মানিক, একধাক্কায় জরিমানা 'ডবল' করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
মানিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 7:13 PM

কলকাতা : মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই জরিমানার পরিমান একধাক্কায় দ্বিগুণ করার নির্দেশ দিলেন তিনি। প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত একটি মামলায় জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিককে। এখনও পর্যন্ত জরিমানা দেননি তিনি। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। সেই আর্জি খারিজ করে জরিমানা দ্বিগুণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সোমবার। গত ৬ ফেব্রুয়ারি  বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, সাত দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে হবে মানিককে। তারপরও জরিমানা দেননি জেলবন্দি মানিক।

মায়ারানি পাল নামে এক চাকরি প্রার্থী মামলাটি করেছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ৬ বছর পরও ফল না জানতে পেরে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলকারীর বক্তব্য ছিল, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু’টি পরীক্ষাতেও অংশ নিতে পারেননি তিনি। এর ফলে তিনি বঞ্চিত হন।

কী সেই মামলা?

অভিযোগ, ৬ বছর কেটে গেলেও পরীক্ষার ফল জানতে পারেননি চাকরি প্রার্থী মায়ারানি পাল। ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। মামলকারীর বক্তব্য ছিল, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু’টি পরীক্ষাতেও অংশ নিতে পারেননি। তাই ৬ বছর বাদে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিককে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরীক্ষার ফল(২০১৪ টেট) প্রকাশ হলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মায়ারানি পাল।

কেন দ্বিগুণ হল জরিমানা?

ইতিমধ্যেই মানিক ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেও এখনও শুনানি হয়নি। সোমবার মানিকের আইনজীবী নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি না হওয়ায় জরিমানার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে আরও ২ লক্ষ টাকা অর্থাৎ মোট ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার ফল মানিকের পক্ষে গেলে সুদসহ টাকা ফেরত পাবেন

গত ৬ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, ৭ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে হবে মানিককে। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে টাকা দিতে হবে মানিককে। স্বল্পমেয়াদী স্কিমে গচ্ছিত থাকবে সেই টাকা। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার ফল মানিকের পক্ষে গেলে সুদসহ টাকা ফেরত পাবেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’