Justice Amrita Sinha: ‘বাই ডিফল্ট বেরিয়ে যান’, প্রাথমিক নিয়োগ মামলা থেকে AG-কেই সরিয়ে দিলেন বিচারপতি সিনহা
Justice Amrita Sinha: বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, "এই বোর্ড এডামেন্ট। তারা কিছু পাবলিশ করবে না। এখনও তদন্ত চলছে। ৯২ সংখ্যাটা বাড়বে কিনা জানা নেই।" তিনি প্রশ্ন করেন, "চাকরি প্রার্থীরা একটা একটা দিন নষ্ট করছে। রাজ্যকে বলতেই হবে কী চায় তারা। তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। কবে নিয়োগ?"
কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে এজিকে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এজি হিসাবে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের হয়ে কীভাবে আইনজীবী হিসাবে রয়েছেন কিশোর দত্ত? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্যের লিগল অ্যাডভাইসার তিনি। তিনি আবার সুজয় কৃষ্ণের আইনজীবী? সেটা কীভাবে প্রশ্ন? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে এজি-কে সরিয়ে দেন বিচারপতি।
এদিনের শুনানির সময়ে বিচারপতি এজি-র উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “আপনি এই মামলায় একজনের হয়ে সওয়াল করছেন। তার সঙ্গে রাজ্যের স্বার্থের সংঘাত হলে সমস্যা হবে। তাহলে সরকারের হয়ে এই মামলায় থাকতে পারেন না।” এরপরই বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আপনি বাই ডিফল্ট বেরিয়ে যান।”
বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, “এই বোর্ড এডামেন্ট। তারা কিছু পাবলিশ করবে না। এখনও তদন্ত চলছে। ৯২ সংখ্যাটা বাড়বে কিনা জানা নেই।” তিনি প্রশ্ন করেন, “চাকরি প্রার্থীরা একটা একটা দিন নষ্ট করছে। রাজ্যকে বলতেই হবে কী চায় তারা। তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। কবে নিয়োগ?”
রাজ্যের হয়ে শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পদ শূন্য না হলে কেউ নতুন করে নিয়োগ হতে পারবেন না। সুপার নিউমারিক পোস্ট ৩ হাজার করা হয়েছিল। রাজ্য নিজে নিয়োগ বা সরিয়ে দিতে পারে না। তাই সুপারনিউমারি পোস্ট করা হয়। যাতে কোন লিগল বাধা ছিল না। কিন্তু সেটাও মামলা হয়ে যায় বলে বন্ধ হয়ে যায়।”
তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “এত পোস্ট কেন? এর সমাধান কীভাবে সম্ভব?” মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “মেরিট লিস্ট অনুযায়ী হওয়া উচিৎ। সেটাই প্রকাশিত হচ্ছে না। বাকিদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।” তখনই বিচারপতি বলেন, “আর কত অপেক্ষা। এই অপেক্ষা শেষ হওয়ার নয়। উভয় মিটিং করে এব্যাপারে সমাধানে আসা যায় কি না দেখুন।” এই মামলার পরের শুনানি ৬ ফ্রেবরুয়ারি।