Municipality Recruitment Scam: ফের ধাক্কা রাজ্যের, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ বহাল বিচারপতি সিনহার

Municipality Recruitment Scam: সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই নির্দেশে এক সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে রিভিউ পিটিশনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

Municipality Recruitment Scam: ফের ধাক্কা রাজ্যের, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ বহাল বিচারপতি সিনহার
বিচারপতি অমৃতা সিনহাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 12, 2023 | 2:02 PM

কলকাতা : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পর এবার পুর নিয়োগ দুর্নীতিতেও হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পুর নিয়োগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। শুক্রবার রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।

পুর নিয়োগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া পর সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশে এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে রিভিউ পিটিশনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সেই মামলা সরানো হয়। পরে মামলা যায় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। মামলা নতুন বেঞ্চে যাওয়ার পর সেখানে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়।

এই মামলায় রাজ্য প্রশ্ন তুলেছিল, নতুন করে কেন দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে? বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, ‘নতুন অপরাধ নয়, এটা একটা মিশ্রিত অপরাধ?’

আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্য সরকারের যত নিয়োগ হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে।রাজ্য পুলিশ এ ক্ষেত্রে তদন্ত করতে পারবে না, কারণ অনেক প্রভাবশালীর নাম জড়িত আছে। সব দুর্নীতির মধ্যেই যোগ আছে। সে কারণেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি বদলে গিয়েছে তো কী হয়েছে? এ ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত হওয়ারই ছিল।’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল বলেছিল, বিচারপতিদের একটা অংশ নাকি পক্ষপাতিত্ব করছে। এজলাস বদলানোর পর তৃণমূল উৎসব করেছিল। আমরা বলেছিলাম, বিচারপতি বদলালেও কিছু যায় আসে না। স্বাভাবিকভাবেই পুরনো রায় বহাল থাকল।’ তাঁর দাবি, তৃণমূল ভয় পাচ্ছে বলেই তারা একবার হাইকোর্টে একবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে তৃণমূল দুর্নীতির কথা মেনে নিচ্ছেন বলেই দাবি অধীরের।