Crime: ৪ দিন পর বিয়ে, কনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখেই ছুটে এল পুলিশ, পরের ঘটনায় শরীর দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল
Crime: মৃত যুবতীর নাম তনু গুর্জর। পুলিশের সামনেই দেশীয় পিস্তল দিয়ে খুব কাছ থেকে তনুকে গুলি করেন তাঁর বাবা মহেশ গুর্জর। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তনুর তুতো দাদা রাহুলও গুলি চালান।
গোয়ালিয়র: বিয়ের আর চারদিন বাকি। বাড়িতে আয়োজন প্রায় সারা। হঠাৎ বাড়িতে হইচই। পুলিশ এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কনের একটি ভিডিয়ো দেখেই পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কী পোস্ট করেছেন কনে? তা জানার পরই পুলিশের সামনে মেয়েকে খুন করলেন বাবা। এমনকী, কনেকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল তাঁর তুতো দাদা। আচমকা এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের।
মৃত যুবতীর নাম তনু গুর্জর। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শহরের গোলা কা মন্দির এলাকায়। পুলিশের সামনেই দেশীয় পিস্তল দিয়ে খুব কাছ থেকে তনুকে গুলি করেন তাঁর বাবা মহেশ গুর্জর। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তনুর তুতো দাদা রাহুলও গুলি চালান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কী ভিডিয়ো পোস্ট করেন তনু?
এই খবরটিও পড়ুন
বছর কুড়ির ওই যুবতীর ১৮ জানুয়ারি বিয়ে হওয়ার কথা। মঙ্গলবার খুনের কয়েকঘণ্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ৫২ সেকেন্ডের ভিডিয়ো পোস্ট করেন তনু। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে ঠিক করেছে বাড়ির লোকজন। ওই ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমি ভিকিকে বিয়ে করতে চাই। আমার পরিবার প্রথমে রাজি হয়ে যায়। পরে তারা ভিকির সঙ্গে আমার বিয়ে দিতে অস্বীকার করে। তারা রোজ আমায় মারধর করে। এবং আমাকে খুনের হুমকিও দিয়েছে। আমার যদি কিছু হয়ে যায়, পরিবারের লোকজন দায়ী থাকবে।” জানা গিয়েছে, ভিকি নামে যে যুবকের কথা তনু উল্লেখ করেছেন, তাঁর বাড়ি উত্তর প্রদেশের আগ্রায়। ৬ বছর ধরে ভিকির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তনু।
ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই তনুর বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ। স্থানীয় পঞ্চায়েতের লোকজনও পৌঁছয়। বিষয়টির মীমাংসার চেষ্টা করেন। সেইসময় তনু জানান, বাড়িতে থাকতে চান না তিনি। সরকারি ওয়ান-স্টপ-সেন্টারে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান। সেইসময় মহেশ জানান, মেয়ের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে বোঝাতে চান। তারপর মেয়েকে কাছে টেনে বুকে গুলি করেন। তখন রাহুলও তনুকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানেই পড়ে যান তনু। মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরই মহেশ ও রাহুল পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করেন। কেউ এগিয়ে এলে গুলি চালানোর হুমকি দেন। পুলিশ জানিয়েছে, অনেক বোঝানোর পর অস্ত্র নামান মহেশ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু, ঘটনার পর বন্দুক-সহ পালান রাহুল। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তনুর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।