Recruitment Scam: ‘সব জেনেও চুপ করেছিলেন?’ বিচারপতির প্রশ্নে SSC মানল ‘ভুল হয়েছে’
Recruitment Scam: এসএসসি পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজুদ্দিন আহমেদের স্ত্রী জাসমিনা খাতুনকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া প্যানেল থেকে চাকরি পেয়েছেন তিনি।
কলকাতা: গত কয়েক বছরে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক, বিভিন্ন স্তরে যে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, তাতে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ সামনে এসেছে। কোনও পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন, বছরের পর বছর বেতন পাচ্ছেন, এমন অভিযোগে মুখ পুড়েছে শিক্ষা দফতরের। এমনকী বাদ যায়নি খোদ আধিকারিকের পরিবার। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অন্যতম পদাধিকারীকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। অফিসারের বিরুদ্ধে সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এবার সেই নিয়োগের বেনিয়ম নিয়ে কমিশনকে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল। তদন্ত নিয়ে সিআইডি-র ভূমিকাতেও সন্তুষ্ট নন বিচারপতি। মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের একটি মামলা চলাকালীন সিরাজুদ্দিন আহমেদ নামে আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্ত্রী-কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে।
এসএসসি পশ্চিমাঞ্চল চেয়ারম্যান শেখ সিরাজুদ্দিন আহমেদের স্ত্রী জাসমিনা খাতুনকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া প্যানেল থেকে চাকরি পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠেছে, তাই আর ওই পদে থেকে কাজ করা উচিৎ নয় সিরাজুদ্দিনের। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এদিন মামলায় তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে।
সবকিছু জানার পরেও স্কুল সার্ভিস কমিশন চুপ করে বসে আছে কেন? সেই প্রশ্ন তুলেই এদিন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়ে, পাশ না করে কীভাবে চাকরি হল? সব জেনেও চুপ করে ছিলেন কেন? কী লুকোতে চেয়েছিলেন?” উত্তরে কমিশনের তরফে আইনজীবী এদিন ভুল স্বীকার করে নেন।
একই সঙ্গে বিচারপতি মামলার গুরুত্ব বোঝান সিআইডি-কে। বিচারপতি বসু বলেন, “সবাই ঘোলা জলে মাছ ধরতে লেগে পড়েছেন। আপনাদের বোঝা উচিত, আপনারা কোনও সাধারণ তদন্ত করতে আসেননি। আজই ওই চেয়ারম্যানকে ডেকে জেরা করার ব্যবস্থা করুন।” আগামী ২২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।