Kolkata AQI: কালীপুজোর রাতে দেদার বাজি, দিল্লির দূষণের সঙ্গে টক্কর এ রাজ্যের

Air Pollution: বছর ভর দূষণের জন্য শ্বাসকষ্ট বাড়ছিলই। কোভিড এসে প্রথম থাবাটাই মানব দেহের ফুসফুসে বসিয়েছে। ফলে শ্বাসযন্ত্র এমনিতেই ধুঁকছে।

Kolkata AQI: কালীপুজোর রাতে দেদার বাজি, দিল্লির দূষণের সঙ্গে টক্কর এ রাজ্যের
চিন্তা বাড়াল বাংলার দূষণও। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2021 | 9:50 PM

কলকাতা: প্রতি বছরই এই সময়টা বায়ু দূষণ (Air Pollution) বাড়ে। কালীপুজো, দিওয়ালি, ছট পুজোয় দেদার বাজির তুর্কি নাচন। আর তাতেই বাতাসের গুণগত মানের সূচক একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে। এবারও তার অন্যথা হল না। কালীপুজোর রাতে আইন অমান্যের ফলে কলকাতার দূষণমাত্রা আকাশ ছুঁয়েছে। এ ভাবে আরও এক দু’দিন চললে বিপদ শিয়রে।

বাজির কারণে বিষাক্ত বাতাস। প্রতি বছরের ছবি এবারও। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে মামলা, আদালতের রায় কোনও কিছুই সে বিপদ আটকাতে পারল না। সন্ধ্যা থেকেই দেদার বাজি ফাটানো, কানে তালা ধরানো শব্দ বাজি আর চারপাশে বারুদের গন্ধ। মাঝ রাত পর্যন্ত চলল উদযাপন। পোড়া বারুদ মিশল প্রিয়জনের শরীরে আর বাতাসে।

এর জেরে মাঝ রাতে উঠল বায়ুদূষণের গ্রাফ। দুশ্চিন্তার তথ্য হল, বহু জায়গাতেই বায়ু দূষণের মাত্রা টক্কর দিতে পারে দিল্লির সঙ্গে। কলকাতার রবীন্দ্র ভারতীর সঙ্গে দিল্লির আনন্দ বিহারের বায়ু দূষণ মিলে গেল বৃহস্পতিবার রাতে। দু’ জায়গাতেই PM 2.5 ও PM 10-এর উপস্থিতি ৫০০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটারে।

একই ছবি ধরা পড়ছে হাওড়ার ঘুসুরি ও দিল্লির চাঁদনি চকে। এখানেও PM 2.5 ও PM 10-এর উপস্থিতি ৫০০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটারে। শিলিগুড়িতে PM 2.5-এর উপস্থিতি ৪৯০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটারে। সেখানে দিল্লির লোদী রোডে PM 2.5-এর উপস্থিতি ৫০০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটারে। শিলিগুড়িতে PM 10-এর উপস্থিতি ৪৮০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটারে। দিল্লির লোদী রোডে সেটা ৫০০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটারে।

বেলুড়ে PM 2.5 ও PM 10-এর মাত্রা যথাক্রমে ৪৭৪ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটার ও ৪৭১ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটার। দিল্লির নজফগড়ে এই মাত্রাই যথাক্রমে ৫০০ ও ৪৫৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটারে।

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে প্রতি ঘন মিটারে ধূলিকণার পরিমাণ ২০১ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৩০০ মাইক্রোগ্রাম থাকার অর্থ হল বাতাসের মান খারাপ। তা যদি ৩০১ থেকে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ছোঁয়, তা হলে বাতাসের মান খুব খারাপ। ৪০১ থেকে ৫০০ মানে ভয়ানক খারাপ। অথচ বৃহস্পতিবার বাজির ভেলকিবাজি পর বাংলায় কোথাও কোথাও শেষের সূচকই নজরে এসেছে।

বছর ভর দূষণের জন্য শ্বাসকষ্ট বাড়ছিলই। কোভিড এসে প্রথম থাবাটাই মানব দেহের ফুসফুসে বসিয়েছে। ফলে শ্বাসযন্ত্র এমনিতেই ধুঁকছে। এরপর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার যে হারে বাজির শব্দ শোনা যাচ্ছে তাতে বিপদ যে আরও বাড়ল তার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দলুই বলেন, “আমরা যাঁরা কোভিডের ভুক্তভোগী, বাড়িতে করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিংবা পোস্ট কোভিড উপসর্গে ভুগছেন তাঁরা সকলেই জানেন শরীরে কোভিড কী ভাবে প্রভাব ফেলে গিয়েছে। সেই প্রভাব হার্ট আর ফুসফুসের উপরই সব থেকে বেশি পড়েছে। সুতরাং যে কোনও দূষণই এখন বিষ।”

আরও পড়ুন: Delhi AQI: দীপাবলি পরবর্তী রাজধানীতে বাতাসের গুণগত মান বিগত ৫ বছরে সর্বনিকৃষ্ট