বউবাজারে বৃদ্ধ খুনে থানায় তলব প্রতিবেশীকে
ঘটনার আনুমানিক সময় নির্ধারণ করে সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঠিক সেই সময়েই আবাসনের মেন গেট দিয়ে কারা কারা যাতায়াত করেছেন, তাঁদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
কলকাতা: বউবাজারের বৃদ্ধ পেশায় ব্যবলায়ী আয়ুব ফিদা আলি খুনের ঘটনায় তাঁরই এক প্রতিবেশীকে তলব করল পুলিস। লুঠপাটে বাধা দেওয়াতেই খুন নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে পারিবারিক কোনও কারণ? তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। তবে ঘটনার প্রথম প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে পুলিস।
শুক্রবার বউবাজারের (Bowbazar) ফিয়ার্স লেনে একটি আবাসনের ফার্স্ট ফ্লোর থেকে বছর পঁচাত্তরের বৃদ্ধ আয়ুব ফিদা আলির গলার নলি কাটা রক্তাক্ত দেহ। বউবাজার থানার পুলিস খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁরই এক প্রতিবেশীকে থানায় তলব করেছে। ওই আবাসনেরই মেন গেটের উল্টোদিকের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছে পুলিস।
ঘটনার আনুমানিক সময় নির্ধারণ করে সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঠিক সেই সময়েই আবাসনের মেন গেট দিয়ে কারা কারা যাতায়াত করেছেন, তাঁদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। যাঁরা সেসময় আবাসনের মেন গেট দিয়ে ঢুকেছেন অথবা বেরিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ অপরিচিত কিংবা সন্দেহভাজন রয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই বৃদ্ধের প্রতিবেশীকে ডাকা হয়েছে।
আয়ুব আলির হার্ডওয়্যারের ব্যবসা ছিল। ইদানীং সে ব্যবসা দেখাশোনা করতেন তাঁর ছেলে। ছেলে পরিবার নিয়ে বাড়ির অদূরে থাকেন। মেয়ে চাকরি করেন পার্কস্ট্রিটের একটি বেসরকারি সংস্থায়। শুক্রবার মেয়ে অফিসে চলে যাওয়ার পর বাড়িতে একাই ছিলেন আয়ুব আলি। তাঁর এক আত্মীয় বিকালে ডাকতে এসে দেখেন, ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। সন্দেহ হওয়ায় ঘরে ঢোকেন তিনি। তখনই বৃদ্ধকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুন: চলল বেপরোয়া কিল-চড়-ঘুষি! সহ শিক্ষকদের ‘মারে’ স্কুলেই জ্ঞান হারালেন প্রধান শিক্ষক
আত্মীয় ও স্থানীয়দের কথায়, আয়ুবের ঘর লণ্ডভণ্ড ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, লুঠের উদ্দেশ্যেই কেউ ঘরে ঢুকেছিল। তাতে বাধা পেয়েই খুন। সূত্র খুঁজছে পুলিস।