গাড়িতে নীল বাতি, কেন্দ্রীয় সরকারের বোর্ড! শহরে ফের এক ‘জালিয়াতের’ হদিশ

চেকিংয়ের সময়ে মঙ্গলবার বেনিয়াপুকুর থানার নিউ পার্কস্ট্রিট এলাকায় এ ধরনের একটি লাল বাতি লাগানো গাড়ি দাঁড় করান পুলিশ কর্তারা।

গাড়িতে নীল বাতি, কেন্দ্রীয় সরকারের বোর্ড! শহরে ফের এক 'জালিয়াতের' হদিশ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 30, 2021 | 1:18 PM

কলকাতা: শহরে ফের এক ‘জালিয়াতের’ হদিশ। সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনার সেজে গাড়িতে নীলবাতি লাগিয়ে ঘোরার অভিযোগ। বেনিয়াপুকুর (Beniapukur) থেকে গ্রেফতার মহম্মদ সাদিক নামে ১ যুবক। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত  করেছে পুলিশ (Fraud Case)।

দেবাঞ্জন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতাতে পুলিশের নজরদারি নীল বাতি লাগানো গাড়িতে পড়ে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সন্দেহ মনে হলে, তাঁরা গাড়ি দাঁড় করিয়ে চেকিং করেন। চেকিংয়ের সময়ে মঙ্গলবার বেনিয়াপুকুর থানার নিউ পার্কস্ট্রিট এলাকায় এ ধরনের একটি লাল বাতি লাগানো গাড়ি দাঁড় করান পুলিশ কর্তারা। তাতে নীল বাতি লাগানো ছিল আর সামনে ভিআইপি পার্কিং লেখা ছিল।

সন্দেহ হয় পুলিশ কর্তাদের। গাড়ি চালাচ্ছিলেন মহম্মদ সাদিক নামে ওই যুবক। তিনি নিজেকে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স অফিসার বলে দাবি করেন। তখন তাঁর কাছে সেই সংক্রান্ত নথি দেখতে চাওয়া হয়। প্রথমে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই যুবক। পরে কাগজ দেখাতে না পারায় ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়. কমিশনার তো দূর অস্ত, কোনও ভাবেই তিনি ভিজিল্যান্স কমিশনের সঙ্গেই যুক্ত নন। গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। পুলিশ এখন তদন্ত করে দেখছে, এই সাজিদও কি কোনও প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন?

আরও পড়ুন: মিমি ছাড়াও দেবাঞ্জনের ফাঁদে পড়েছিলেন আরও এক তৃণমূল সাংসদ!

দেবাঞ্জন কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় ভুয়ো গাড়ি, বাতি ব্যবহার করে ভোট প্রভাবিত করা হয়েছে। দেবাঞ্জনের মত আরও অনেকেই তাতে যুক্ত ছিলেন। সঠিক তদন্ত না হলে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া হবে।”