তাঁরই ৫০ জন আত্মীয়-বন্ধুকে ভুয়ো টিকা দেন দেবাঞ্জন! সবটা জেনে চুপ ছিলেন কসবার সেই অফিস-ঘরের মালিকও

জানা গিয়েছে, অশোককুমার প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে কীভাবে দেবাঞ্জনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হল?

তাঁরই ৫০ জন আত্মীয়-বন্ধুকে ভুয়ো টিকা দেন দেবাঞ্জন! সবটা জেনে চুপ ছিলেন কসবার সেই অফিস-ঘরের মালিকও
বাঁ- অশোককুমার রায়
Follow Us:
| Updated on: Jul 01, 2021 | 9:10 AM

কলকাতা: অফিস ঘরের মালিক (Kasba Fake Vaccination Camp) অশোককুমার রায়ের আত্মীয় ও বন্ধু মিলিয়ে মোট ৫০ জনকে ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন (Debanjan Deb)। সেই ভ্যাকসিন যে ভুয়ো, তা আগে থেকেই জানতেন অশোককুমার রায়। কিন্তু তা জানা সত্ত্বেও দেবাঞ্জনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান তিনি। দেবাঞ্জনের কসবার অফিস-বাড়ির মালিক ধৃত অশোককুমারের কাছ থেকে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, কেন সবটা জানা সত্ত্বেও নিজের আত্মীয়দের এই ভুয়ো টিকা দিতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন অশোককুমার? তাহলে কি তিনিও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত? দেবাঞ্জনের থেকে আর্থিক সুবিধা নিতেন?

জানা গিয়েছে, অশোককুমার প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে কীভাবে দেবাঞ্জনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হল? তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন, দেবাঞ্জনের কীর্তি সম্পর্কে ভালভাবেই অবগত ছিলেন অশোককুমার। তারপরও তাঁর অফিস ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন তাঁকে।

২০২০ সালে মাসিক ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অফিস ঘর ভাড়া নেওয়া হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সুশান্ত দাস নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি দেবাঞ্জনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শোভাবাজারে একটি অ্যাড এজেন্সিতে কাজ করতেন সুশান্ত। জানা গিয়েছে, কসবার যে বাড়িতে অফিস রুম ভাড়া নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন, সেই মালিকেরই হয়ে আগে কাজ করতেন সুশান্ত। পরে দেবাঞ্জনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সুশান্ত ঘোষ পরবর্তী কালে পুরসভার ডেপুটি ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলেন। পরবর্তীকালে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন

আরও পড়ুন:  ‘IAS কি নীল বাতি গাড়ি ব্যবহার করতে পারে? কী করছিল পুলিশ?’ রাজ্যকে কড়া ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

কসবার অফিস ছিল দেবাঞ্জনের জালিয়াতির ‘ওয়্যাররুম’। এখানেই নির্ধারিত হত সমস্ত প্ল্যানিং। বুধবারই কসবার অফিস থেকে তদন্তকারীরা উদ্ধার করেছেন কোভিশিল্ডের এক হাজার জাল লেবেল প্রিন্ট। আরও বেশ কিছু জাল লেবেল প্রিন্ট করার জন্য গ্রাফিক্স তৈরি করে রাখা হয়েছিল তাঁর অফিসের কম্পিউটারে। এই লেবেল প্রিন্ট করার জন্য অফিসে ছিল কালার প্রিন্টারও। বাইরে থেকে কোভিশিল্ডের লেবেল প্রিন্ট করলে ধরা পড়ার ভয়ে অফিসেই কালার প্রিন্টার কিনেছিলেন দেবাঞ্জন। তাঁর অফিস থেকে বেশ কিছু কোভিশিল্ডের লেবেলও মিলেছে। তাঁর অফিসের কম্পিউটার থেকে কোভিশিল্ডের এই জাল লেবেলের গ্রাফিক্স পাওয়ার পরে তাঁকে জেরা করা হয়। এই লেভেল তিনি কোথা থেকে প্রিন্ট করান, কেনই বা আরও লেবেল তৈরি করে রাখা হয়েছিল, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।