Kunal Ghosh on Jagdeep Dhankhar: ‘ঘোড়ার সঙ্গে কথা বলার পর টুইট করবেন ওঁ’

Kolkata: রাজ্যপাল ২৫ জানুয়ারি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তার ভিডিয়ো ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন স্পিকার।

Kunal Ghosh on Jagdeep Dhankhar: 'ঘোড়ার সঙ্গে কথা বলার পর টুইট করবেন ওঁ'
তীব্র কটাক্ষ কুণালের, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2022 | 8:58 AM

কলকাতা: রাজ্য-রাজভবন সংঘাত থামার নয়। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সংঘাত। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) ফের একবার কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। টুইটে কার্যত ধনখড়কে কটাক্ষ করে তোপ দাগেন কুণাল।

কিছুদিন ধরেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চূড়ান্ত। শুরুটা হয়েছে বিধানসভায় রাজ্যপালের সাংবাদিক বৈঠক থেকে। প্রজাতন্ত্র দিবসে রেড রোডের অনুষ্ঠানের পর কার্যত ‘মনোঃক্ষুণ্ণ’ হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁকে স্বাগত জানাতে গিয়ে যে ‘শীতল সৌজন্য’ রাজ্যের তরফে দেখা যায় তা নিয়ে টুইট করে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এ বার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নাম না করে টুইটে তোপ দাগলেন কুণাল।

টুইটে কুণাল লেখেন, “কেন ঘোড়া এভাবে পশ্চাৎদেশ দেখিয়ে তাঁকে অপমান করল, সেজন্য তিনি কৈফিয়ত চাইতে তাঁর বড় বাড়িতে ঘোড়াটিকে তলব করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনও টুইট করেননি। ঘোড়াকে নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। ঘোড়া সংক্রান্ত সব নথিও তলব করতে পারেন। হয়ত ঘোড়ার সঙ্গে কথা বলার পর টুইট করবেন।”

টুইটের তলায় একটি ছবি দেওয়া, যেখানে দেখা যাচ্ছে, রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজ্য়পাল যেখানে বসে রয়েছেন, তাঁর সামনেই একটি ঘোড়া পেছনদিক করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের জন্য রেড রোডের অনুষ্ঠানে  সম্পূর্ণ একটি পৃথক মঞ্চও তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই রাখা হয়েছে বসার আসনও।

কার্যত এটা স্পষ্ট কুণালের তীর ধনখড়ের দিকেই। সম্প্রতি, নতুন করে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত চরমে। গত ২৫ জানুয়ারি বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করতে এসে নজিরবিহীনভাবে বিধানসভার স্পিকারকে আক্রমণ করেন ধনখড়। তাঁর আক্রমণ থেকে বাদ যাননি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই বিরোধ অব্যাহত ছিল ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পর্যন্ত। ২৬ জানুয়ারি, কার্যত মুখ্যমন্ত্রী  ও রাজ্যপালের সাক্ষাতে যে ‘সৌজন্য শীতলতা’ দেখা গিয়েছে তা অস্বীকার করার নয়।

বিধানসভায় যেভাবে রাজ্যপাল শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। এমনকী, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এমন আচরণ করেছেন রাজ্যপাল তাও মনে করছেন কেউ কেউ।

গত ২৫ জানুয়ারি বিধানসভা প্রাঙ্গণে স্পিকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া ছাড়াও রাজ্যে  ভোট পরবর্তী হিংসা, পুরবিল সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে তোপ দাগেন ধনখড়। স্পিকারের পাশে দাঁড়িয়েই রাজ্যপাল মন্তব্য করেন যে, বিধানসভা কর্তৃপক্ষ সংবিধানকে মান্যতা দিচ্ছে না।  যা কার্যত চূড়ান্ত সংঘাতের রূপ নেয়।

ইতিমধ্যেই, রাজ্যপাল ২৫ জানুয়ারি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তার ভিডিয়ো ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন স্পিকার। স্পিকার জানিয়েছেন, রাজ্যপাল যদি নিজে বিধানসভায় আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ তাঁর আসার কারণ খতিয়ে দেখবেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে স্পিকার ঘুরিয়ে বলে দিলেন, রাজ্যপাল আর নিজের ইচ্ছায় বিধানসভায় আসতে পারবেন না।

ঘটনায়, তৃণমূল সাংসদের সৌগত রায় দাবি করেছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক রাখাই দায় হয়ে উঠেছে। কারণ, তিনি কখন কীভাবে কোন মন্তব্যকে গ্রহণ করবেন, কখন ক্ষোভ প্রকাশ করবেন, কখন বিরুদ্ধাচারণ করবেন তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।

অন্যদিকে, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার মন্তব্য, “অত্যন্ত দুঃখজনক বক্তব্য স্পিকারের। যেটা এই রাজ্যের পক্ষে সংবিধানের পক্ষে যথেষ্ট দুর্ভাগ্যজনক। একজন স্পিকার তাঁর ক্ষমতার দায়রা হারিয়ে ফেলেছেন। তাই তিনি এই ধরনের মন্তব্য করছেন। রাজ্যপালের গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বা বিধানসভায় রাজ্যপালের আগমন আটকানোর ক্ষমতা কিন্তু স্পিকারের নেই। এটা বুঝতে হবে স্পিকার বিধানসভাটুকু চালান, এটা তাঁর বাড়ি নয়। তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তিও নয়। সংবিধানের একটা পীঠস্থান।”

আরও পড়ুন: Ritesh Tiwari’s tweet: ‘ভার্চুয়াল চক্রবর্তী ও টুইট মালব্যর বঙ্গ বিজেপি অসাধারণ!’ 

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari on Shantanu Thakur: ‘শান্তনু আমার ভাই, সহকর্মী…কোনও কথা নয়’