AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Govt Hospitals Kolkata: ট্রলির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা, চিকিৎসা না পেয়ে NRS থেকে ফিরতে হচ্ছে রোগীদের!

Govt Hospitals Kolkata: এক সাত বছরের শিশুর‌ও বাবা জানিয়েছেন, ট্রলির জন্য সকাল ১১ টা থেকে অপেক্ষা করতে করতে বিকেল ৪ টে বেজে গিয়েছে।

Govt Hospitals Kolkata: ট্রলির অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা, চিকিৎসা না পেয়ে NRS থেকে ফিরতে হচ্ছে রোগীদের!
NRS-এ ট্রলির অভাব (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2023 | 7:34 AM
Share

কলকাতা : দিন কয়েক আগে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে (NRS Medical College) ট্রলিতে ছটফট করতে করতে মারা গিয়েছে বছর ২৬-এর মেঘনাদ চন্দ্র। চারখানা সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও তিনি কোনও চিকিৎসা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে পরিবারের তরফে। এবার সামনে এল সেই এনআরএস-এর আরও এক ভয়ঙ্কর ছবি। চিকিৎসা পাওয়া তো দূর! একটা ট্রলির জন্য দিন কেটে রাত হয়ে যাচ্ছে। কেউ যদি মনে করেন, ট্রলি ছাড়াই রোগীকে ভিতরে নিয়ে যাবেন, তাও হবে না। কারণ ট্রলিই নাকি ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার ছাড়পত্র। তেমনটাই বলছে রোগীর পরিবার। কেউ দুর্ঘটনায় আহত, কেউ হার্টের রোগী। গুরুতর অসুস্থ রোগীকেও অনেক সময় হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

বর্ধমান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে পূর্ণিমা রুইদাসকে। তিনি বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। এমার্জেন্সিতে নিয়ে এলে ওপিডি’তে যেতে বলা হয়। কিন্তু ট্রলি ক‌ই? অগত্যা অ্যাম্বুল্যান্সের স্ট্রেচারে সঙ্কটজনক রোগীকে নিয়ে ওপিডি দৌড়লেন ছেলে। বললেন, ‘খুব কষ্ট হচ্ছে। ট্রলি নেই।’ এক সাত বছরের শিশুর‌ও বাবা জানিয়েছেন, ট্রলির জন্য সকাল ১১ টা থেকে অপেক্ষা করতে করতে বিকেল ৪ টে বেজে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এক রোগীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে দিনভর অপেক্ষা করতে করতে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। ট্রলি নেই বলে ভর্তি করানো যায়নি, খোদ চিকিৎসক সে কথা প্রেসক্রিপশনে লিখে দিয়েছেন, এমন উদাহরণও আছে।

যে বিভাগ থেকে ট্রলি দেওয়া হয়, সেই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রক্ষী জানিয়েছেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৬০০। আর ট্রলির সংখ্যা মাত্র ১৫০। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই ট্রলি সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে আবার বেড না পাওয়ায় কোনও কোনও রোগীকে ট্রলিতেই ভর্তি করাতে হয়েছে। ফলে সঙ্কট বেড়েছে আরও।

এনআরএসের এমএসভিপি ইন্দিরা দে-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অনেক রোগীকে ট্রলিতেই ভর্তি করাতে হচ্ছে ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’ তাঁর দাবি, ট্রলির সংখ্যা যতই বাড়ানো হোক, প্রয়োজনের তুলনায় তা কম হবে। তবু ট্রলিগুলো যাতে দ্রুত রোগীদের কাছে পৌঁছনো যায়, সেই চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।