Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Matua: মতুয়াগড়ে এবার নতুন খেলা, আলাদা প্রার্থী ঘোষণা তিন কেন্দ্রে

Loksabha Election: কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, 'ব্যক্তিস্বার্থে আমাদের সমাজের কথা না বলে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করে গিয়েছে। আমাদের সময় এসেছে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূল আদর্শকে বাংলার বুকে তথা ভারতের বুকে প্রতিষ্ঠিত করার।'

Matua: মতুয়াগড়ে এবার নতুন খেলা, আলাদা প্রার্থী ঘোষণা তিন কেন্দ্রে
তিন প্রার্থীর সঙ্গে পরিচয় করালেন সংগঠনের সদস্যরা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 11, 2024 | 6:30 PM

কলকাতা: প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মতুয়াগড়ে নানারকমের ঘটনা ঘটে চলেছে। এরইমধ্যে লোকসভা ভোটের মুখে নতুন করে ফাটলের ইঙ্গিত সেখানে। মতুয়া সম্প্রদায়কে নিয়ে রাজনীতির ঘুরপাকের অভিযোগ। আর তাতেই তিতিবিরক্ত হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভক্তদের একাংশ। তারা বলছে, আলাদা প্রার্থীর কথা। ২৪-এর লোকসভা ভোটে আলাদা প্রার্থী দিচ্ছে মতুয়াদের সংগঠন শান্তিহরি মতুয়া ফাউন্ডেশন। বারাসত, বনগাঁ ও কৃষ্ণনগরে প্রার্থী দিচ্ছে তারা।

ফাউন্ডেশনের বক্তব্য, ভোটের আগে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে ব্যবহার করে সব দল। ভোটের পর সমস্ত প্রতিশ্রুতি ভুলে যায় সবাই। বঞ্চনার প্রতিবাদেই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত মতুয়া সংগঠনের। শান্তনু ঠাকুর ও মমতাবালা ঠাকুরের কোন্দল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এখন ঘরে বাইরে কার্যত অস্বস্তির পরিবেশ। বড়মার ঘরের দখল নিয়ে যে কাজিয়া শুরু হয়েছে, তা এখন চরমে। এই অবস্থায় মতুয়াদের একাংশ আলাদাভাবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বভাবতই যা রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলেছে।

সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ব্যক্তিস্বার্থে আমাদের সমাজের কথা না বলে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করে গিয়েছে। আমাদের সময় এসেছে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূল আদর্শকে বাংলার বুকে তথা ভারতের বুকে প্রতিষ্ঠিত করার।’

সংগঠনের তরফে আরও বলা হয়, “আমরা বৃহত্তর মতুয়া সমাজ, উদ্বাস্তু সমাজ, দলিত আদিবাসী সংখ্যালঘু সমাজ নিজেদের পতাকা তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আর ব্যবহৃত হতে চাই না।” শুধু তাই নয়, শান্তিহরি মতুয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যদের দাবি, ওই অট্টালিকা থেকে শুরু করে যা কিছু সব ভক্তদের টাকায়। পরিবারের কারও একটি টাকাও নেই। তাঁরা বলেন, ওই পাকাবাড়ির প্রতিটা ইটের সঙ্গে ভক্তের ঘাম, ভক্তের পরিশ্রমের অর্থজুড়ে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “আমরা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ করি। গুরুচাঁদ ঠাকুর থেকে শুরু হয়েছে, প্রমথরঞ্জন ঠাকুর, তারপর কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের পর আমার দায়িত্বে এসেছে। আমরা এখনও কোনও রাজনীতি দল খুলিনি। আমরা মতুয়ারা এখনও স্বতন্ত্র্য। কেউ কিছু করতে চাইলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমাদের সঙ্গে কেউ আলোচনা করে কিছু করেনি।”