Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mahakumbh: কোথায় ডেথ সার্টিফিকেট? কেন হয়নি পোস্টমর্টাম? মহাকুম্ভ থেকে চিরকুট দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেহ!

Mahakumbh: গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রয়াগরাজে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। উত্তর প্রদেশ সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।

Mahakumbh: কোথায় ডেথ সার্টিফিকেট? কেন হয়নি পোস্টমর্টাম? মহাকুম্ভ থেকে চিরকুট দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেহ!
এই চিরকুট দেওয়া হচ্ছে মৃতের পরিবারকেImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2025 | 1:44 PM

কলকাতা: মহাকুম্ভে মৌনি অমাবস্যার রাতে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। বাংলার তিনজন পুণ্যার্থীর নাম রয়েছে সেখানে। ইতিমধ্যেই তাঁদের রাজ্যে ফিরিয়েও আনা হয়েছে। কিন্তু মৃতদের পরিবারের কাছে নেই কোনও ডেথ সার্টিফিকেট। নেই কোনও ময়নাতদন্তের রিপোর্টও। শুধুমাত্র একটা ছোট চিরকুটে নাম লিখেই পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। যোগী সরকারের এই ব্যবস্থা নিয়েই উঠেছে বড় প্রশ্ন। যাঁদের হাতে ডেথ সার্টিফিকেটই নেই, তাঁরা কি আদৌ দাবি করতে পারবেন যে তাঁদের আত্মীয়ের মৃত্যু মহাকুম্ভে গিয়েই হয়েছে?

কলকাতার বাসন্তী পোদ্দার, শালবনির উর্মিলা ভুঁইয়া, জামুড়িয়ার বিনোদ রুইদাসের মৃত্যু হয়েছে মহাকুম্ভে। তাঁদের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় একটি চিরকুট। তাতে লেখা রয়েছে, মৃতের নাম, ঠিকানা, কোন আত্মীয় দেহ গ্রহণ করলেন- এই সব তথ্য। কিন্তু মহাকুম্ভে গিয়েই যে মৃত্যু হয়েছে, তার কোনও উল্লেখ নেই। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে কি মৃতের সংখ্যা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে?

আইনে কী আছে? 

আইন অনুযায়ী, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে, যেখানে মৃত্যু হবে, সেখানেই ময়নাতদন্ত করতে হবে। সেখান থেকেই ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। ফলে, যাঁরা দেহ নিয়ে চলে এসেছেন, তাঁদেরও প্রয়াগরাজে গিয়েই ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা বলেন, “আইন একেবারে পরিষ্কার। মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেট দিতেই হবে। স্থানীয় প্রশাসনকেই ইউডি কেস (আন ন্যাচরাল ডেথ কেস) করে ইনকোয়েস্ট করতে হবে ও ময়নাতদন্ত হবে।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কী করে এই আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে!

কী কী অসুবিধার মুখে পড়তে পারে মৃতদের পরিবার?

১. মহাকুম্ভে মৃত্যু হয়েছে, এই প্রমাণ না থাকলে উত্তর প্রদেশ সরকারের ঘোষণা করা ক্ষতিপূরণ পেতে অসুবিধা হবে পরিবারের।

২. যিনি অন্য জায়গায় মৃতের ময়নাতদন্ত করাতে নিয়ে যাবেন, তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। খুনের অভিযোগও উঠতে পারে।

৩. কী কারণে মৃত্যু, তা স্পষ্ট না হলে জীবন বিমা ক্লেম করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে।

৪. উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে সব নথি পরিবারের কাছে পৌঁছে যাবে। সেটা না গেলে কী করবে পরিবারগুলি, কার সঙ্গে যোগাযোগ করবে, তা স্পষ্ট নয়।

বড় প্রশ্নের মুখে যোগী সরকার

রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “কত তাড়াতাড়ি বডি লুকনো যায়। কত তাড়াতাড়ি মৃত্যু চাপা দেওয়া যায়, সেটা প্রমাণ করে দিল একটা সরকার। মৃতদের পরিজনদের সাহায্য করার মতোও কেউ ছিল না। তারা এক দরজা থেকে আর এক দরজায় ঘুরেছে।”

প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর প্রদেশের বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদবও। তাঁর অভিযোগ, সরকার সংখ্যা লুকিয়ে যাচ্ছে, যাতে ক্ষতিপূরণ না দিতে হয়। মৃতের পরিবার কোথায় যাবে, তার সব ব্যবস্থা সরকারের করা উচিত।

তবে বিজেপি বলছে, এগুলো নিছকই রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির ওপর এতে কোনও প্রভাব পড়ছে না। এটা একটা দুর্ঘটনা। না ঘটলেই ভাল হত। পরিবারের কী প্রয়োজন বলুক, আমরা পরিবারের পাশে দাঁড়াব।”