Mamata Banerjee: মিলেছে দুর্গা অঙ্গনের জমি, GST-তে ক্ষতি ‘২০ হাজার কোটি টাকা’, পুজো উদ্বোধনে গিয়ে আর কী বার্তা মমতার?
Mamata Banerjee on GST: মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'বিমাতে জিএসটি নেওয়া যাবে না, এই মর্মে ভারতবর্ষে প্রথম চিঠিটা লিখেছিলাম আমি। আমাদের অর্থমন্ত্রী জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে তা নিয়ে লড়াই করেছিলেন। তবে এখন যখন এটা লাগু হল, তারপরেও তাতে কিন্তু কেন্দ্রের কোনও অবদান নেই।'

কলকাতা: বিকাল ৫টায় জিএসটি নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার ঠিক ঘণ্টা দেড়েক পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গেল সেই জিএসটি-কথা। রাজ্যের ক্ষেত্রে ‘আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও’ মানুষের স্বার্থে নতুন কাঠামোয় সায় দিয়েছেন তিনি।
শনিবার থেকেই প্যান্ডেল উদ্বোধনে বেরিয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মহালয়ার পুজো নয়, তিনি উদ্বোধন করেছেন ‘প্য়ান্ডেল’। কিন্তু মহালয়ার দিন? শারদোৎসবের উদ্বোধনে রবিবার চেতলা অগ্রণীতে চলে যান তিনি। পুজোর আনন্দের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় জিএসটির কথাও।
এদিন তিনি বলেন, ‘যে যাই বলুক, এটা কাচের মতো স্বচ্ছ যে কুটির ও অনুসারী শিল্পে আমরা এক নম্বরে। উৎপাদন শিল্প নিয়ে আমাদের কাউকে জ্ঞান দিতে হবে না। ওটাতেও আমরা এক নম্বরে। একশো দিনের কাজে এক নম্বরে ছিলাম। তাই আমাদের এখন আর টাকা দেয় না। বাংলার বাড়ির টাকা দেয় না। পিএইচই-র টাকা ৯০ শতাংশ আমরাই দিই।’ শুধু অনুদানই নয়, বিমা থেকে জিএসটি হটানোর কাজেও একমাত্র বাংলার প্রশাসনেরই ভূমিকা রয়েছে, সেই কথাও বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘বিমাতে জিএসটি নেওয়া যাবে না, এই মর্মে ভারতবর্ষে প্রথম চিঠিটা লিখেছিলাম আমি। আমাদের অর্থমন্ত্রী জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে তা নিয়ে লড়াই করেছিলেন। তবে এখন যখন এটা লাগু হল, তারপরেও তাতে কিন্তু কেন্দ্রের কোনও অবদান নেই। এই নিয়ম আনতে গিয়ে আমাদের ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে গেল। অন্য সকল রাজ্যগুলোরও হয়েছে। কিন্তু তারা তো ঘুরপথে পেয়ে যাবে। আমরা তো পাব না। আমাদের ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা এখনও দেয়নি।’
এদিন বাঙালি অস্মিতা নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক দেখলেই ‘আক্রমণ করছে’ বলে বিজেপির দিকে অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় কথা বলা পরিযায়ী শ্রমিক দেখলেই হল, হোটেলে ঢুকতে দেবে না। কাজ করতে দেবে না। অত্যাচার করবে। কেন? আমরা তো হিন্দি ভাষী দেখলে এমন আচরণ করি না। আমাদের এখানে কেউ করে না।’ পাশাপাশি, জগন্নাথ ধামের পর দুর্গা অঙ্গন তৈরির কাজও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি। মমতার কথায়, ‘আমরা দুর্গা অঙ্গন তৈরি করছি। জমি পাওয়া গিয়েছে। একটা ট্রাস্টও গঠন করা হয়েছে।’
