Manik Bhattacharya: ইডির চার্জশিট আসার পরেই ‘শেষ ঠিকানায়’ কড়া নাড়লেন মানিক
Manik Bhattacharya: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তিনি। হাইকোর্টে সুব্রত তালুকদারের সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার যে চার্জশিট ইডি পেশ করেছে, তাতে উঠে এসেছে মানিক ভট্টাচার্যের নাম।
প্রাথমিক টেট মামলায় পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে মানিককে অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তির হিসেব পেশ করার নির্দেশও দিয়েছিল হাইকোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্য। সেখানেও কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। ফলে, অস্বস্তি থেকেই যায় মানিকের। এবার দ্বারস্থ হলেন শীর্ষ আদালতের। মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত পক্ষকে নোটিস জারি করেছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি তথা বিধায়ক মানিককে একাধিকবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও জারি করেছিল সিবিআই। তবে মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও স্পষ্ট হয় ইডি চার্জশিট পেশ করার পর। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মানিক।
চার্জশিটে মানিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ সামনে এসেছে। উল্লেখ করা হয়েছে, বেসরকারি বিএড কলেজগুলি থেকে পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা করে চেয়ে চাপ দিতেন মানিক। শুধু তাই নয়, ইন্টারভিউ হওয়ার পর পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ফাঁরা মাস্টারশিট চেয়ে চাপ দিতেন বলেও অভিযোগ। আরও জানা গিয়েছে, সে সব অভিযোগের কথা জানতেন খোদ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ ও মানিকের বেশ কিছু কথোপকথনও প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি মানিককে ইডি দফতরে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়। আগামিদিনে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে কি না, সে দিকেই নজর থাকছে।