Gajaraj Money Recovery: ধাবার পিছনের গেস্ট হাউস ভেঙে নির্মাণ! গজরাজ-কাণ্ডের শিকড় আদতে কতদূর ছড়িয়ে?
Gajaraj Money Recovery: সূত্রের খবর, নিজের ধাবাকে আরও সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মনজিত সিং। ওই ধাবার মালিকের সঙ্গে শাসকদলের অনেক নেতারই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

কলকাতা: বালিগঞ্জের টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আসলে শিকড় বিস্তৃত অনেক দূর পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, শরৎ ঘোষ রোডের ওপরে একটি ধাবা রয়েছে। তার ঠিক পিছনেই রয়েছে একটি অতিথিশালা। সেই অতিথিশালার যিনি মালিক ছিলেন তিনি ওই ধাবার মালিক মনজিত সিং জিট্টার কাছে বিক্রি করে দেন সেই গেস্ট হাউস। মুম্বই নিবাসী গেস্ট হাউসের সেই প্রাক্তন মালিকের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ। শেয়ার প্রতারণা থেকে শুরু করে আয়কর না জমা দেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মোট ১২ কোটি টাকায় মনজিত সিং জিট্টাকে গেস্ট হাউস বিক্রি করে দেন তিনি।
মুম্বই নিবাসী ওই ব্যবসায়ী নিজের অতিথিশালা গত অক্টোবর মাসে বিক্রি করেন ধাবার মালিককে। ওই ধাবার মালিক মঞ্জিত সিং-এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন নির্মাণ ব্যবসায়ী বিক্রম শিকারিয়া। সূত্রের খবর, নিজের ধাবাকে আরও সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মনজিত সিং। ওই ধাবার মালিকের সঙ্গে শাসকদলের অনেক নেতারই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
বুধবার আলিপুর শরৎ বোস রোডে অবস্থিত এই অতিথি শালার রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই অতিথি শালার মালিক সংশ্লিষ্ট ধাবার মালিকের নামে রেজিস্ট্রি করেন। এই ধাবার পিছনে থাকা অতিথিশালা ভেঙে ধাবাটির সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে যাবতীয় নির্মাণ কাজ করার কথা ছিল ওই গজরাজ গ্রুপের। সূত্রের খবর, কয়লা পাচারের টাকা এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তথ্য ছিল ইডির আধিকারিকদের কাছে।
এরপরই বুধবার বিকেল ৪ টে ৪৫ মিনিট নাগাদ গজরাজের অফিসের সামনে একটি কালো গাড়ি দাঁড়াতে দেখা যায়। সেখানে প্রায় ১৫ মিনিট গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। সেই গাড়িটি বেরিয়ে যাওয়ার পর ৫ মিনিটের মধ্যেই ইডির টিম ঢোকে গজরাজের অফিসে। সূত্রের খবর, ১২ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় দেড় কোটি গজরাজের অফিসে গিয়েছিল। সেই টাকাই উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।





