Kuntal Ghosh: অপু-মিন্টু-রবি-শাশ্বত, কার সঙ্গে কত ডিল! কুন্তলের ‘কালো ডায়েরি’ই কি হাটে হাঁড়ি ভাঙবে?

Kuntal Ghosh: দুই ডায়েরির পাতায় পাতায় চাকরি চুরির টাকার লেনদেনের খুঁটিনাটি। কী কী আছে সেখানে?

Kuntal Ghosh: অপু-মিন্টু-রবি-শাশ্বত, কার সঙ্গে কত ডিল! কুন্তলের ‘কালো ডায়েরি’ই কি হাটে হাঁড়ি ভাঙবে?
কুন্তলের কালো ডায়েরি রহস্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 6:48 PM

কলকাতা: দুটো ডায়েরি। একটার রং কালো। অপরটার মেরুন। একটি তাপসের আর অন্যটা কুন্তলের। সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুই ডায়েরির পাতায় পাতায় রয়েছে চাকরি চুরির টাকার লেনদেনের খুঁটিনাটি। কী কী আছে সেখানে? কুন্তলের কালো ডায়েরির পাতা এক্সক্লুসিভ TV9 বাংলার হাতে। ডায়েরি থেকেই জানা যাচ্ছে, ২০১৯-র জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসেই বারবার টাকা গিয়েছে কুন্তলের কাছে। প্রতিটি চাকরি বিক্রির ডিল হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকায়। কোন জায়গায় কোন মিডলম্যানের মাধ্যমে টাকা লেনদেন তার বিস্তারিত তথ্য মিলেছে। একাধিকবার মহিষবাথান-রুবির অভিজাত আবাসনে  চাকরি বিক্রির ডিল বলে কুন্তলের ডায়েরিতে উল্লেখ ছিল। ডায়েরিতে জ্বলজ্বল করছে তাপস মণ্ডলের নাম। প্রতিটি লেনদেনের পাশে কুন্তল ঘোষের সই। গোপাল দলপতি মারফত কুন্তলের কাছে গিয়েছে মোট ৮৮ জন চাকরিপ্রার্থীর টাকা। মোট ২৫লক্ষ টাকা চাকরিপ্রার্থীদের থেকে আদায় হয়েছে। এখানেও হিসাবের নীচে সই রয়েছে কুন্তল ঘোষের।

চোখ রাখা যাক আরেকটি হিসাবে। ডায়েরির পাতার এক জায়গায় মোট টাকা পয়সার হিসাব লেখা। কী লেখা রয়েছে? জানা যাচ্ছে, ২০১৯-র ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত মোট ৭৯ লক্ষ টাকা হাতে এসেছে। হিসেবের নীচে জ্বলজ্বল করছে কুন্তল ঘোষের সই। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আরবানাতে ৬ লক্ষ টাকার ডিল হয়েছিল। মিডলম্যান ছিলেন তাপস মিশ্র। ২৮ ফেব্রুয়ারি কোনও এক অফিসে চাকরিপ্রার্থী রবি ও মিন্টুর সঙ্গে ৩ লক্ষ টাকার ডিল হয়েছে। ৪ মার্চ চাকরিপ্রার্থী অপু ও শাশ্বতর সঙ্গে ১০লক্ষ টাকার ডিল হয়েছিল। ৫ মার্চ, ২০১৯। মহিষবাথানের অফিসে সহেলি নামে এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে ১০ টাকার ডিল হয়েছিল।

উল্লেখ্য, তাপস মণ্ডলের ডায়েরিতে পর্যায়ক্রমে লেখা ছিল, কখন কবে কত টাকা গিয়েছে কুন্তল ঘোষের কাছে। কুন্তল ঘোষের ডায়েরিতেও একইভাবে সেই হিসাব রয়েছে। রুবির অভিজাত আবাসন থেকে শুরু করে মহিষবাথানের অফিস, সব জায়গাতে বারবার চাকরি চুরির ডিল হয়েছে বলে খবর। কে মিডলম্যান ছিলেন, কত টাকার ডিল হয়েছে, তা বিস্তারিত নথিবদ্ধ রয়েছে কুন্তলের ডায়েরিতে।

ইডি আধিকারিকরা এই দুটো ডায়েরি থেকেই মূলত ‘ক্লু’ খুঁজছেন। প্রত্যেকটা লেনদেনের পাশেই জ্বলজ্বল করছে কুন্তল ঘোষের সই। তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে যে যে সুপারিশ কুন্তল ঘোষের কাছে গিয়েছে, তার প্রধান সাক্ষী দু’জন। তাপস মিশ্র ও গোপাল দলপতি। গোপাল দলপতি মারফতই ৮৮ জনের চাকরির সুপারিশ গিয়েছে কুন্তল ঘোষের কাছে। তিনি টাকা নিয়েছেন। বাকি যে সুপারিশগুলো তাপস মিশ্র করেছিলেন, তা তাপস মণ্ডল মারফত কুন্তল ঘোষের কাছে গিয়েছে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কুন্তলের এই ডায়েরিই এখন ইডি আধিকারিকদের কাছে ‘বিগেস্ট ক্লু’।

এক নজরে

  • ২০১৯-র জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসেই বারবার টাকা গিয়েছে কুন্তলের কাছে
  • প্রতিটি চাকরি বিক্রির ডিল হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকায়
  • কোন জায়গায় কোন মিডলম্যানের মাধ্যমে টাকা লেনদেন তার বিস্তারিত তথ্য
  • মহিষবাথান-রুবির অভিজাত আবাসনে বার বার চাকরি বিক্রির ডিল
  • ডায়েরিতে জ্বলজ্বল করছে তাপস মণ্ডলের নাম
  • প্রতিটি লেনদেনের পাশে কুন্তল ঘোষের সই
  • গোপাল মারফত কুন্তলের কাছে গেছে মোট ৮৮ জন চাকরিপ্রার্থীর টাকা