ED: ছেলে-মেয়েরও পুরসভায় চাকরি, ‘সুবোধ মাস্টার’ কতটা ‘সুবোধ’, দেখছে ED
TMC: রাজনীতিতে উত্থান হতেই অনেকে এও বলছেন, মাস্টার নাকি রাজনীতির অঙ্ক-বিজ্ঞান-রসায়নটাও বেশ বোঝেন। তাঁদের দাবি, সে কারণেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েই চেয়ারম্যান হয়ে গেলেন। মাস্টার সুবোধ দীর্ঘদিন ওই এলাকায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এলাকা যখন পঞ্চায়েতের আওতায় ছিল তখন তিনি থেকেই তিনি পঞ্চায়েতের সদস্য।
কলকাতা: পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই ও ইডির নজরে উত্তর দমদম পুরসভা ও পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তী। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডির টিম। সুবোধ চক্রবর্তী পেশায় একজন শিক্ষক। বিরাটি খলিশকোটা আদর্শ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের মাস্টারমশাই তিনি। অর্থাৎ অঙ্ক ও বিজ্ঞান তিনি ভালই বোঝেন। মাস্টারমশাই হিসাবে এলাকায় বেশ নামডাকও রয়েছে তাঁর? এ হেন ‘সুবোধ স্যর’-এর নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়। সুবোধের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে আরও। তিনি তাঁর ছেলে ও মেয়েকেও নাকি পুরসভায় চাকরি দেন।
রাজনীতিতে উত্থান হতেই অনেকে এও বলছেন, মাস্টার নাকি রাজনীতির অঙ্ক-বিজ্ঞান-রসায়নটাও বেশ বোঝেন। তাঁদের দাবি, সে কারণেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েই চেয়ারম্যান হয়ে গেলেন। মাস্টার সুবোধ দীর্ঘদিন ওই এলাকায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এলাকা যখন পঞ্চায়েতের আওতায় ছিল তখন তিনি থেকেই তিনি পঞ্চায়েতের সদস্য। পরবর্তীতে উত্তর দমদমে তৃণমূলের বোর্ড গঠন হওয়ার আগে অর্থাৎ বাম আমলে কংগ্রেসের হয়ে কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে চেয়ারম্যান হন।
পুরনিয়োগ তদন্ত শুরু হওয়ার আগে সুবোধের নাম তেমন বড় কোনও গোলমালের সঙ্গে জড়াতে শোনা যায়নি। অর্থাৎ ইমেজ ভালই তাঁর। কিন্তু তদন্ত শুরু হতেই ইমেজ ‘ড্যামেজ’ হতে শুরু করে। তদন্তকারীরা বলছেন, সুবোধ চেয়ারম্যান থাকার সময়ই নাকি অয়ন শীলের সংস্থা ওই পুরসভায় নিয়োগের দায়িত্বে ছিল। বেশ কিছু বেআইনি নিয়োগের অভিযোগও সেই সময় হয়েছে বলে দাবি এজেন্সির। সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও তাদের কাছে এসেছে। পাশাপাশি এজেন্সির কাছে মাস্টারমশাইয়ের নাম করেছেন অয়ন শীল, এমনও খবর ইডি সূত্রে। কিন্তু মাস্টারমশাই তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন তিনি কিছুই জানেন না। মানে মাস্টারমশাই কিছু দেখেননি।