Sukanta on Muslim : ভারতের নাগরিক ভাবেননি, মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্ক ভেবেছেন: সুকান্ত

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Updated on: Jan 18, 2023 | 9:26 PM

Sukanta on Muslim : “যে সমস্ত মানুষ বিজেপির থেকে দূরে আছেন, তাঁদের সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য বলেছেন মোদীজি। ভোট পাওয়ার আশা বা নিরাশার মধ্যে না থেকে দেশের কথা ভেবে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।” স্পষ্ট বলতে শোনা গেল সুকান্ত মজুমদারকে।

Sukanta on Muslim : ভারতের নাগরিক ভাবেননি, মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্ক ভেবেছেন: সুকান্ত
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

কলকাতা : সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। এদিকে তার আগে ইতিমধ্যেই ‘ভোট মন্ত্র’ বলে দিয়েছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তারপর থেকেই খানিক যেন সুর বদলাতে শুরু করেছে বঙ্গের বিজেপি (BJP) নেতাদের। “বিজেপি মুসলিম বিরোধী দল নয়।” সে কথাই সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। বুধবারই টিভি-৯ বাংলার ক্যামেরার সামনে এ কথা বলতে শোনা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। মুসলিম সমাজের সঙ্গে জনসংযোগ নিবিড় করতে ইতিমধ্যেই বড় বার্তা এসেছে একেবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে। তারপর থেকে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল বদলে ফেলেছেন বাংলার পদ্ম নেতারা। তাঁদের কথাতেই সেটাই ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথাতেও এদিন যেন সেটাই স্পষ্ট হল। তাঁর দাবি, এ রাজ্যে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝাচ্ছে শাসক তৃণমূল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের বদ্ধমূল থাকা সেই ভুল ধারণাই ভাঙতে চাইছে বিজেপি। এই নির্দেশই সরাসরি এসেছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে।  

‘ভুল বোঝানো হয়েছে মুসলিমদের’ 

এদিন বাসন্তীতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো নেতারা। সেখান থেকেই সুকান্তর স্পষ্ট দাবি, “ভারতীয় জনতা পার্টি সম্পর্কে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বছরের পর বছর ধরে ভুল বোঝানো হয়েছে। তার ফলও দেখা গিয়েছে। ওদের চাকরি নেই, শিক্ষা নেই। যোগ্যাতা নেই এরকম নয়, অনেক ভাল ছাত্র হতে পারত। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় তা হচ্ছে না। কারণ তাঁদের পিছনে ফেলে রাখা হয়েছে। অন্ধকারে ফেলে রাখা হয়েছে। বিজেপির ভয় দেখিয়ে তাঁদের ভোটব্যাঙ্ক করে রাখা হয়েছে। মুসলিমদের ভারতের নাগরিক ভাবেননি কেউ। সবাই তাঁদের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভেবেছেন। আমরা সেই ধারণাটা ভাঙতে চাই। ভোট দেবেন না দেবেন না এটা তাঁদের ব্যাপার। কিন্তু, আমরা সঠিক তথ্য তাঁদের সামনে তুলে ধরতে চাই।”  এরপরেই শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দেগে তিনি বলেন, “সিএএ নিয়ে আমাদের রাজ্যের সরকার সংখ্যালঘু মানুষদের ভুল বুঝিয়ে রেখেছে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের তাঁদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে হবে। যাঁরা সমাজের সঠিক দিকে পরিবর্তন চান তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।” 

এই খবরটিও পড়ুন

ভোটের কথা না ভেবেই মুসলিমদের দরবারে 

তবে সংখ্যালঘু সমাজের কাছে পৌঁছালেও আপাতত ভোটের কথা তাঁরা ভাবছেন না। সুকান্তর স্পষ্ট বার্তা, “যে সমস্ত মানুষ বিজেপির থেকে দূরে আছেন তাঁদের সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য বলেছেন মোদীজি। ভোট পাওয়ার আশা বা নিরাশার মধ্যে না থেকে দেশের কথা ভেবে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।” এর ফল দেখা যাবে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে? উত্তরে এখনই কোনও ধরাবাঁধা টার্গেট সেট করতে চাইছেন না সুকান্ত। কারণ? উত্তরে সুকান্ত বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট পুলিশের মাধ্যমে হবে। তাই শেষ পর্যন্ত কী হবে তা কেই বলতে পারবে না। গণনাকেন্দ্র থেকে শংসাপত্র পাওয়ার পরও তা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে এরকম ঘটনা ২০১৮ সালে ঘটেছিল। তবে লোকসভাতেও আমাদের আসন সংখ্যা ২৫ এর আশপাশে থাকবে।” 

পঞ্চায়েতে বামেদের সঙ্গে জোট? 

এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হওয়ার আগে বিগত কয়েক মাসে একের পর এক সমবায় সমিতির নির্বাচনে রাম-বাম জোটের ছবি দেখা গিয়েছে। যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে দুই শিবিরের নেতাদেরই। তৃণমূলকে রুখতে কী খাতায় কলমে বামেদের হাত ধরবে বিজেপি? প্রশ্ন শুনেই বামেদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে দেখা যায় সুকান্তকে। তিনি বলেন, “বামেদের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। বামেরা তৃণমূলের এপিঠ আর ওপিঠ। একইমুদ্রার এপিঠ ওপিঠ দুই দল। ওরা স্ট্র দিয়ে খেত, এরা বোকা তাই ঘটঘট করে ঘোল খাচ্ছে গ্লাসে করে। সে জন্য মুখে দাগ লেগে যাচ্ছে। বামেদের সময়েও তো এরকমই অত্যাচার হয়েছিল। আমাদের এক বিধায়কের বাবাকে তো ১২ ঘণ্টা গাছে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাঁকে মূত্রপানও করানো হয়েছিল। সিপিএম আমলেই হয়েছিল। সিপিএম এখন ভেক ধরে সন্ন্যাসী হয়েছে।”

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla