‘ফ্ল্যাটের কলিং বেলে চাপ দিতেই…’, শ্যুটআউট নিয়ে মুখ খুলল এসটিফ

ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭ লক্ষ টাকা, ৯ এমএম পিস্তল সহ একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র।

'ফ্ল্যাটের কলিং বেলে চাপ দিতেই...', শ্যুটআউট নিয়ে মুখ খুলল এসটিফ
অভিজাত আবাসনে শুটআউট (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Updated on: Jun 09, 2021 | 8:04 PM

কলকাতা: দিনে-দুপুরে শহরের উপকন্ঠে এমন গোলাগুলির ঘটনার নজির নেই সাম্প্রতিককালে। ভরদুপুরে গুলির শব্দে চমকে উঠলেন আবাসনের বাসিন্দারা। পরে জানা গেল, আবাসনেই লুকিয়ে ছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী, যার মাথার দাম ১০ লক্ষ। কী ভাবে ঘটল এই ঘটনা? শ্যুটআউটের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন এসটিএফের এডিজি বীনিত গোয়েল। পাঞ্জাব পুলিশ খবর দিতেই এ দিন এসটিএফ এই অপারেশন চালায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

এডিজি বীনিত গোয়েল জানিয়েছেন, এই দুষ্কৃতীদের অপরাধের ইতিহাস রয়েছে। যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের জসপ্রীত সিং ও-জয়পাল সিং ভুল্লার বলে শনাক্ত করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। জসপ্রীতের মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ ও জয়পালের ১০ লক্ষ।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়েছে এডিজি বলেন, ‘দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে আছে, এমন খবর পেয়ে আমরা আসি ও চারপাশ ঘিরে ফেলি। গ্রেফতার করতে যেতেই ফায়ারিং শুরু করে ওরা। আমাদের অফিসাররা পাল্টা গুলি চালায়। গুলিতে আহত হন ইন্সপেক্টর। তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ আবাসনের সেকেন্ড ফ্লোরে একটি সিঙ্গল রুমে ফ্ল্যাটে ছিল তারা। এসটিএফ জানিয়েছে, টিম গিয়ে কলিং বেল চাপে। একজন এসে দরজা খোলে। দরজা খুলেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। আক্রান্ত হন ওসি। এরপর পুলিশের বাকি টিমের পাল্টা গুলিতে দু’জনের মৃত্যু হয়।

ওই আবাসন থেকে ৭ লক্ষ টাকা, ৫টি আধুনিক অস্ত্র, ৮৯ রাউন্ড গুলি, মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। তাদের ৯ এমএম পিস্তল ছিল বলে জানিয়েছে এসটিএফ। এই পিস্তল সাধারণত পুলিশের কাছে থাকে। তাদের কাছে কী ভাবে এই অস্ত্র এল, তা স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে এসটিএফ।

আরও পড়ুন: জাতীয় স্তরের অ্যাথলিট হয়ে উঠেছিল অপরাধ দুনিয়ার ‘রাজা’, কে এই জয়পাল সিং ভুল্লার?

এ দিন দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাস শ্যুটআউট শুরু হয়। জয়পাল নিজে ও তার গ্যাং-এর লোকেরা অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পঞ্জাবে তাদেরই গ্যাং প্রকাশ্যে পুলিশকর্মীকে খুন করে। এরপর থেকেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই দুষ্কৃতীদের খোঁজ করছিল পাঞ্জাব পুলিশ। কিন্তু তারা কী ভাবে কলকাতার উপকন্ঠে এসে এ ভাবে দিনের পর দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাতেই এ দিন নিউ টাউনে সাপুরজির আবাসনে যায় এসটিএফ।