Bengal Governor’s defamation case against CM: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানির মামলায় কী হবে? সোমে ফের শুনানি

Bengal Governor's defamation case against CM: কিছুদিন আগে নবান্নের সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, "রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে।" সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানান এক নৃত্যশিল্পী। দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।

Bengal Governor's defamation case against CM: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানির মামলায় কী হবে? সোমে ফের শুনানি
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানির মামলার ফের শুনানি সোমবার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2024 | 2:45 PM

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মামলা চলাকালীন কোনও অসম্মানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিতে হাইকোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপালের আইনজীবী। বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে বুধবার শুনানি ছিল। এই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশের জন্য সোমবার শুনানি হবে। তার মধ্যে নথি আদান-প্রদানের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।

কিছুদিন আগে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনের বিধায়ক পদে শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বরাহনগর ও ভগবানগোলায় উপনির্বাচনে জেতেন তৃণমূলের এই দুই প্রার্থী। শপথ গ্রহণের জন্য তাঁদের রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তাঁরা সেখানে গিয়ে শপথ নিতে রাজি হননি। সেইসময় নবান্নের সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, “রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে।” সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানান এক নৃত্যশিল্পী। দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন রাজ্যপাল। সেই মামলায় যুক্ত করা হয় তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনকে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে মামলায় যোগ করা হয়। আগের দিন শুনানিতে রাজ্যপালের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। রাজ্যপাল সম্পর্কে কী মন্তব্য করা হয়েছে, তা ভিডিয়োতেই দেখা যাচ্ছে বলে জানান। এরপরই সব সংবাদমাধ্যমকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

সেই মামলার শুনানি ছিল এদিন। রাজ্যপালের আইনজীবী আবেদন করেন, মামলার শুনানি চলাকালীন অসম্মানজনক মন্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিক হাইকোর্ট। অন্তর্বর্তী নির্দেশের জন্য সোমবার ফের মামলার শুনানি হবে। তার মধ্যে নথি আদান-প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।